আগামী বছরে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেট নিয়ে নাটক চলছেই। ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে না এবং তারা হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট চায় বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। আইসিসি বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছে পাকিস্তানকে, কিন্তু তারাও মানতে নারাজ। তাদের দাবি, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে না করে তাদের দেশেই যেন আয়োজিত করা হয়, ভারত যেন তাদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তাজনিত বিষয়টি মিটিয়ে নেয়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু আর তিন মাস পরই, অথচ এখনও ভেনু নির্ধারণ করে উঠতে পারেনি আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্যা হিসেবে যা যথেষ্ট বিড়ম্বনার। এই অবস্থায় জট কাটাতে আগামী মঙ্গলবার জরুরী বৈঠকে বসতে চলেছে আইসিসি। সেদিন বৈঠকের পরই প্রতিযোগিতার ভাগ্য নির্ধারন হবে বলে জানানো হচ্ছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে সরকারের অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানে যাওয়া সম্ভব নয় ক্রিকেট দলের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাকি সদস্যরা অবশ্য যেতে রাজি হয়েছে। ভারত ঘুরিয়ে চেয়েছিল যাতে হাইব্রিড মডেলে টিম ইন্ডিয়ার ম্যাচগুলো অন্য যে কোনও দেশে হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভারত ফাইনালে উঠলে, পাকিস্তানে ফাইনালও হবে না। তাই পিসিবিও রাজি নয় হাইব্রিড মডেলে।
দুই ক্রিকেট বোর্ডের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশে অযথা বিলম্ব হচ্ছে, কথা ছিল প্রতিযোগিতা শুরুর ১০০ দিন আগেই সেই সূচি প্রকাশ হওয়ার। এদিকে পিসিবিও প্রতিযোগিতার জন্য আলাদা চিফ অপারেট অফিসার নিয়োগ করেছে গোটা প্রতিযোগিতা সুস্থভাবে আয়োজন করার জন্য। বলা ভালো আইসিসিকে চাপে রাখার জন্য।
বড়সড় অঘটন না ঘটলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচ দেওয়া হবে আরব আমিরাতে। পাকিস্তান বোর্ড রাজি না হলেও আইসিসির পক্ষে ভারতকে ছাড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করাও সহজ কাজ নয়। তাই হাইব্রিড মডেলেই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারে আইসিসি। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের থেকে আরবের দূরত্ব কম হওয়ায় বাকি দলগুলোর তেমন অসুবিধা হবে না ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে।