ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতে চলেছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেট আসর নিয়ে। টুর্নামেন্ট আয়োজন করা থেকে সরে আসতে পারে পাকিস্তান। এমনকি প্রতিযোগিতায় না খেলারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাবর আজ়ম, শাহিন আফ্রিদিদের ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রাজি নয় তারা। আইসিসিও ভারতের ম্যাচগুলি কোনও নিরপেক্ষ দেশে আয়োজনের কথা ভাবছে। যা নিয়ে খুশি নয় পিসিবি। তাই পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না খেলার হুমকি দিয়েছে।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার পিসিবিকে নির্দেশ দিতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না খেলার জন্য। পিসিবি সভাপতি মোহসিন নাকভি জানিয়েছেন, হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলে খেলবে না পাকিস্তান।
আইসিসি যদিও হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চাইছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আয়োজন করার পুরো খরচও দেবে তারা। বেশির ভাগ ম্যাচ যাতে পাকিস্তানে হয়, সে দিকেও লক্ষ্য রাখার কথা বলেছে আইসিসি। কিন্তু পাকিস্তান তাতেও রাজি নয়।
পাকিস্তান যদি হাইব্রিড মডেলে রাজি না হয় এবং ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে যেতে রাজি না হয়, তা হলে পুরো প্রতিযোগিতাই সরিয়ে দিতে পারে আইসিসি। সে ক্ষেত্রে কোনও নিরপেক্ষ দেশে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই প্রতিযোগিতা শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কোনও দলেরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আপত্তি থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তান এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে না পারলে খেলবে না বলে জানিয়েছে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা। হাতে খুব বেশি সময় নেই। যদি দ্রুত কোনও রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া না যায়, তা হলে প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রতিযোগিতা বাতিল হলে তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য খুব বড় ধাক্কা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সমর্থকদের জন্যেও তা খুব আনন্দের হবে না।
১ ডিসেম্বর থেকে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেবেন জয় শাহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ক্ষেত্রে তিনি বড় ভূমিকা নিতে পারেন। জয় কীভাবে দায়িত্ব নিয়েই এই সমস্যার সমাধান করেন, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।