শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে ডাম্বলা আরাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেল বি ক্যান্ডি লাভ। রোববার (২০ আগস্ট) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রোববার (২০ আগস্ট) ডাম্বুলা আগে ব্যাট করে ১৪৭ রান করে। জবাবে ক্যান্ডি ৫ উইকেট হারিয়ে ১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এতে এই টুর্নামেন্ট পায় নতুন চ্যাম্পিয়ন দল আগের তিন আসরের চ্যাম্পিয়ান বাংলাদেশের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়ের দল জাফনা কিংস।
ফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ডাম্বলা। ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো ৫ রানে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস সঙ্গে সাদিরা সামারাবিক্রমা। তাদের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। এই জুটি ভাঙে ৩৬ রানে সামারাবিক্রমার বিদায় নিলে। এরপর অধিনায়কও ফিরে যান ২২ রান করে। ডাম্বলার হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এ ছাড়া কুশাল পেরেরার ৩১* রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৪৭ রানের পুঁজি পায় ডাম্বুলা।
এলপিএলের ফাইনালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের টার্গেট পায় ক্যান্ডি। এত ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে কাজের কাজটা করে দেন তাদের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। হারিসের ২৬ রান ও মেন্ডিসের ৪৪ রানে ক্যান্ডি দুই উইকেট হারিয়ে ৯৪ করে। এরপর স্কোর বোর্ডে ১৩ রান যোগ করতেই আরও দুই উইকেট হারায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল। তারপর অবশ্য আর দলের বিপদ হতে দেয়নি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও পাকিস্তানি ছক্কা স্পেশালিস্ট আসিফ আলী। পাকিস্তানি ব্যাটার ১০ বলে ১৯ রান করে আউট হলেও ম্যাচ জিতেয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাথিউস। তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৫* রান। ডাম্বুলা আরার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন নূর আহম্মেদ।
এই ম্যাচে বি ক্যান্ডি লাভের নিয়মিত অধিনায়ক হাসারাঙ্গা ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। তার পরিবর্তে দলটা অধিনায়কত্ব করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ আসরের শিরোপা জিতলো বি ক্যান্ডি লাভ। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হাতে উঠেছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে। তিনি এবারের এলপিএলের ২৭৯ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সঙ্গে ১৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শিরোপা জয়ী দলের অধিনায়ক।