ঢাকা ডমিনেটরসের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো শুরু করে খুলনা টাইগার্স। মাঝে ইয়াসির আলি, আজম খান লড়াই করলেও খুলনাকে ১১৩ রানেই আটকে দিয়েছে ঢাকা। ডমিনেটরসের পেসার আল আমিন হোসেন শিকার করেছেন চার উইকেট।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই অতি সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন খুলনা ওপেনার তামিম ইকবাল। অন্যপাশে আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও দ্রুত তাকে ফিরিয়ে দেন ঢাকা ডমিনেটরস অধিনায়ক নাসির হোসেন।
তিন নম্বরে নেমে মুনিম শাহিরিয়ার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই আল আমিনের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে যান তিনি।
এরপর চার নম্বরে ব্যাটিং করতে এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম তিন বলে দুই বাউন্ডারি মারেন খুলনার পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান।
তবে এর পরের ওভারেই ঢাকার স্পিনার আরাফাত সানির শর্ট বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল। ১৪ বলে মাত্র আট রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
দুর্দান্ত শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আজম। দলীয় ৪৯ রানে ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরে যান তিনি। এরপর সাইফ উদ্দিনকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন খুলনার অধিন্যাক ইয়াসির।
তবে দু’জনের জুটি স্থায়ী হলেও রানের চাকার গতি কমে এসেছিল অনেকটাই। দলীয় ৮০ রানে ব্যক্তিগত্র ২৪ রানে ইয়াসির ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৩১ রানের সংগ্রামী জুটি।
অধিনায়ক ফেরার পর আবারও নিয়মিত উইকেট হারানো শুরু করে খুলনা। দলীয় ৮৭ রানে সাইফ বিদায় নেওয়ার পর দলীয় ১০০ রানে নাহিদুলও ফিরে যান। শেষদিকে উইকেটে এসে এক চার ও এক ছক্কায় দারুণ ক্যামিও খেলেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
তবে সাব্বির রহমান ১১ বল খেললেও কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস।