অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নারর্ভাস নাইনটি নাইনে আউট হয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। তিন অঙ্কের ঘরের খুব কাছে গিয়ে না ছোঁয়ার আক্ষেপটা মেটাতে বেশি সময় নেননি অধিনায়ক। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ম্যাথিউসের সেঞ্চুরির উপর ভর করেই নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিডনিতে দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২১২ রান করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ক্যারিবিয়ানরা। এর আগে নারী ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফর্মেটে কখনোই দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪২৫ রানের ম্যাচ হয়নি। এই ম্যাচে ছিল রেকর্ডের ছড়াছড়ি।
এদিন অজি ব্যাটার ফিবি লিচফিল্ড ১৮ বলে অর্ধশতক ছুঁয়ে সোফি ডিভাইনের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ১৯ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এর আগে এলিসা পেরির ৪৬ বলে ৭০ রান ও জর্জিয়া ওয়েরহামের ১৩ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংসে পাহাড়ুসূমহ ২১৩ রানের টার্গেট দেয় অস্ট্রেলিয়া। সফরকারিদের হয়ে বল হাতে তিন উইকেট শিকার করেন ম্যাথিউস।
জবাব দিতে নেমে অবশ্য ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জুটি গড়েন অধিনায়ক ম্যাথিউস ও অভিজ্ঞ স্টেফানি টেলর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৪ রান যোগ করেন ম্যাথিউস-টেলর। যা নারী টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪১ বলে ১১ চারে ৫৯ রান করা টেলর বোল্ড করে রেকর্ডগড়া সেই জুটি ভাঙেন মেগান স্কাট।
অবশ্য টেলর উইকেটে থাকতেই ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ম্যাথিউস। শেষপর্যন্ত ৬৪ বলে ২০ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩২ রানে গিয়ে তার ইনিয়স থামে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ম্যাথিউসের বিদায়ের পর জয়ের বাকি কাজটা সারেন চিনেল হেনরি ও শেমাইন ক্যাম্পবেল। দুইজনেই ৪* রানে অপরাজিত ছিলেন।
এই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার উঠে ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের হাতে।