সবশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন নাসির হোসেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাইরে আছেন। নাসিরের জাতীয় দলে ঠাঁই না হলেও তিনি বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগগুলোতে নিয়মিত মুখ। সেখানে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) হয়তো খেলতেন নাসির। তবে এর আগেই আইসিসির দুর্নীতির জালে আটকা পড়লেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে নাসিরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আইসিসি। টাইগার এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন বিভাগ। ২০২১ সালে আরব আমিরাত টি-১০ লিগে খেলার সময় এই ধারা ভেঙেছেন নাসির।
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে আইসিসি, দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৩ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলার মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কি না, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কি না তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৬ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
নাসিরের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তিনি কি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ হবেন কি না এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে। এই বিষয়ে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নাসির বাংলাদেশের ক্রিকেটে খেলতে পারবে কিনা, সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ধরনের ঘটনায় আমরা ক্লোজলি মনিটর করি এবং আইসিসির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপগুলো নিয়ে থাকি। আইসিসির নির্দেশনা বা আলোচনা করে আমাদের করণীয় বিষয় ঠিক করা হবে।”