বাছাইপর্বে তিনজন খেলোয়াড়কে হারিয়েছেন। মূলপর্বে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস খেলোয়াড় মায়া জয়েন্টের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, ইউএস ওপেন টেনিস আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সুবাদে প্রাপ্ত প্রাইজমানির বড় অংশই পাবেন না তিনি। পরের রাউন্ডে গেলে আরও বেশি অর্থ হারাতে হবে তাকে। আর এটা পেছনে কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম।
জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলতে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার ১৮ বছরের তরুণী মায়া। সম্প্রতি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিদ্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাস করা হয়নি তার। ইউএস ওপেনে খেলতে নামতে হয়েছে ফ্লাশিং মিডোতে। প্রথম রাউন্ডে হারিয়েছেন জার্মানির লরা সিগমুন্ডকে ৬-৪ ও ৭-৫ সেটে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সুবাদে ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার প্রাইজমানি পাবেন তিনি। তবে সেই প্রাইজমানির বেশিটাই পাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) নিয়ম অনুযায়ী, কলেজে পূর্ণ সময়ের জন্য অন্তর্ভুক্তি না হলে, ওপেন অ্যাথলেটিক্স ইভেন্ট থেকে প্রতি বছর কোনও ক্রীড়াবিদই ১০ হাজার ডলারের বেশি প্রাইজমানি পাবেন না। যদি প্রাইজমানি ১০ হাজার ডলার ছুঁয়ে ফেলে, তা হলে কোনও ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য ওই ক্রীড়াবিদের যে দরকারি খরচ রয়েছে, শুধু সেই অর্থটুকুই তিনি পাবেন। তবে নাম, ছবির স্বত্বের জন্য কোনও অর্থ পেলে তাতে বিধিনিষেধ নেই।
অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ছেড়ে দিতে হচ্ছে মায়াকে। তিনি বলেছেন, ‘কলেজে আলাদা নিয়ম। ছাত্রী হিসাবে প্রতিযোগিতা থেকে অর্থ পেতে পারেন। কিন্তু বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনাকে খরচ করে যেতেই হবে।’
মায়ার বন্ধু তথা টেনিস খেলোয়াড় রিসি ব্রান্টমেয়ার সম্প্রতি এনসিএএ-র বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন নিয়মের বদল চেয়ে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক খেলোয়াড় অ্যান্ডি রডিকও। তিনি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘স্থানীয় গাড়ির ডিলারশিপ থেকে কলেজের ছাত্র অর্থ পেতে পারে কিন্তু ইউএস ওপেনে নয়। আমার কাছে এটা অদ্ভুত নিয়ম।’