সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এফসির কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের। কিংসের চেয়েও শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা শারজাহ এফসির সঙ্গে ভালোই লড়াই করেছে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত শারজাহ’র ব্রাজিলিয়ান লুয়ান পেরেইরার জোড়া গোলে ২-০ গোলে হেরেছে কিংস। এ পরাজয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক বাছাইয় থেকে বিদায় নিলো কিংস। এক ম্যাচের প্লে-অফে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে এখন এএফসি কাপে খেলবে তারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রো লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন শারজাহ শুরু থেকে ছড়ি ঘোরাতে থাকে কিংসদের উপর। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস থেকে বল পান আলকাসের। বার্সেলোনার এই সাবেক ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের কোনাকুনি শট আটকে দেন জিকো।
২১তম মিনিটে উড়ে আসা লং বল লাফিয়ে উঠেও নাগাল পাননি বিশ্বনাথ ঘোষ। পেয়ে যান তার পেছনেই থাকা লুয়ান পেরেইরা; লুয়ানজিনিয়ো নামে পরিচিত এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে আবারও ত্রাতা জিকো।
৩০তম মিনিটে ফের শারজাহর আক্রমণ; মিরালেম পিয়ানিচের ক্রসে শাহিদ আবদেল্লাহর হেড যায় পোস্টের বাইরে।
কুলিং ব্রেক থেকে ফিরে প্রথম সুযোগ তৈরি করে বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু রবসনের কর্নার থেকে বল পাওয়া দোরিয়েলতনের হেড উপরের জাল কাঁপায়।
৪০তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন পিয়ানিচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিকো দ্রুত ছুটে এসে বল গ্লাভসে নিলে শট নেওয়ার সুযোগ পাননি জুভেন্টাসের সাবেক মিডফিল্ডার।
বসুন্ধরা কিংসের রক্ষণ তছনছ করে বারবার ভিতরে ঢুকে পরা শারজাহ এফসি গোলের দেখা পায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। কাইওর থ্রু পাস ধরে পিয়ানিচ বাইলাইনের একটু উপর থেকে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান গোলমুখে। ফিনিশিং টাস করেন লুয়ানজিনিয়ো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ওসমানো কামারা দূরপাল্লার শটে জিকোকে পরাস্ত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।
একটু পর পাল্টা আক্রমণ থেকে ভালো সুযোগ আসে বসুন্ধরা কিংসের সামনে। তবে দোরিয়েলতনের পাস ধরে দামাশেনো পারেননি জালে বল জড়াতে।
৫২তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্টের হতাশায় পুড়তে হয় বসুন্ধরা কিংসকে। এবার দামাশেনোর পাস ধরে দোরিয়েলতন শট নিতে একটু দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষকের গায়ে মেরে ভালো সুযোগটা নষ্ট করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৭০তম মিনিটে পিয়ানিচের শট আটকান জিকো, শারজাহর ফিরতি প্রচেষ্টাও প্রতিহত হয় রক্ষণে। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। আব্দুল্লাজিজ সেলিমের ক্রসে লুয়ানজিনিয়ো হেডে জাল খুঁজে নেন। বসুন্ধরা কিংসের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটাও বলা যায় ওখানে শেষ হয়ে যায়। ফলে হারের বিষাদ বেদনা নিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের।