দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিচরণ করছেন আদিল রশিদ। এখনও জাতীয় দলের কতবড় সম্পদ এই অভিজ্ঞ লেগ-স্পিনার, বোঝা যাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
কলকাতায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রশিদ। চেন্নাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ১৪ রানে ১টি উইকেট নেন তিনি। এবার রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে রশিদ ৪ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন।
রাজকোটে ভারতের পরিকল্পনায় তালগোল পাকিয়ে দেন রশিদ। একে তো পাওয়ার প্লে-তে ৩টি উইকেট হারায় ভারত। তার উপর রশিদ মাঝের ওভারে কৃপণ বোলিং করে ভারতের উপর চাপ বাড়িয়ে তোলেন। প্রয়োজনীয় রান-রেট ক্রমাগত বাড়তে থাকায় লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে ভারত।
ম্যাচের শেষে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এককথায় স্বীকার করে নেন রশিদের কৃতিত্ব। তার দাবি, ব্রিটিশ স্পিনারই ভারতের কাছ থেকে ম্যাচ দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গত কারণে ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জোস বাটলারকেও আপ্লুত শোনায় রশিদকে নিয়ে। তিনিও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনারকে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাটলার বলেন, ‘ও (রশিদ) আমাদের দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। বিপুল বৈচিত্র্য রয়েছে ওর বোলিংয়ে। প্রয়োজন মতো স্টাইল বদলাতে ওস্তাদ। আমরা ভাগ্যবান যে, ও আমাদের দলে রয়েছে।’
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আদিল রশিদ শুধু বল হাতেই নয়, বরং রাজকোটে ব্যাট হাতেও দলের পারফর্ম্যান্সে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ইংল্যান্ড একসময় ১২৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে জুটিতে ২০ রান যোগ করেন রশিদ। শেষ উইকেটের জুটিতে মার্ক উডকে সঙ্গে নিয়ে দলের ইনিংসে আরও ২৪ রান যোগ করেন রশিদ। শেষবেলায় রশিদ বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ায় ইংল্যান্ড দেড়শো রানের গণ্ডি টপকাতে সক্ষম হয়।
বাটলার রাজকোটে ম্যাচ জিতে আলাদা করে প্রশংসা করেন জোফ্রা আর্চার ও বেন ডাকেটেরও। ডাকেটের হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করেই ইংল্যান্ড লড়াই করার রসদ পায়। ডাকেট ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫১ রান করেন। আর্চার ৪ ওভার বল করে ৩৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন।