প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলারে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করায় কয়েকদিন ধরে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার নারী ফুটবলাররা হয়েছেন। এমনকি এক নারী ফুটবলারকে ধর্ষণ এবং হত্যার হুমকিও দিয়েছে কে বা কারা। বিপরীতে অনেকটাই বাহবা কুড়িয়েছেন বিদ্রোহীদের কোচ বাটলার। কিন্তু সেই বাটলারও সুষ্ঠু সমাধানের পথে হাটলেন না, সাবিনাদের দেখানো পথে তিনিও ঘোষণা করলেন বিদ্রোহের। বলেছেন, “হয় ওই ফুটবলাররা (বিদ্রোহীরা) থাকবে, না হয় আমি।”
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বাটলার বলেছেন, “এটা কোনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নয়। এখানে সমঝোতার কিছু নেই। তারা থাকলে আমি থাকব না। একদম পরিষ্কার।”
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাফুফের বিশেষ কমিটির সামনে মুখোমুখি হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে পিটার জেমস বাটলার বলেন, “কমিটি আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে, আমি তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, যারা বাফুফে ভবনে থেকে ও বাফুফের খাবার খেয়ে বাফুফেতেই দাঁড়িয়ে ভিত্তিহীন কথা বলে, আমি তাদের কোচিং করাব না।”
১৮ জন নারী ফুটবলার কোচের বিপক্ষে নানা অভিযোগ এনেছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সাফজয়ী দলের সদস্য। তাদের অভিযোগ বিশেষ কমিটির কাছে গুরুত্ব পাবে না, এমন আশা করে বাটলার বলেন, “আমার বিশ্বাস তারা (বিশেষ কমিটি) সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। আমার স্পষ্ট কথা, হয় ওরা থাকবে নয়তো আমি, সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।”
বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকজন ফুটবলারকে বাটলার বাদ দিতে চান বলে শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পিটার জেমস বাটলারে বলেন, “আমি কয়েকজনের নাম দিয়েছি, তারা থাকলে আমি কোচিং করাব না। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার অনুশীলনে যাচ্ছে না এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা ননসেন্স, এটা বন্ধ হওয়া দরকার।”