বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার বিষয় উল্লেখসহ ৫১ পাতার রিপোর্ট দেয় ফিফা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বাফুফে অধিকতর তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রায় তিন মাস পর সেই কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শেষ করে রোববার (৩০ জুলাই) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাফুফে সভাপতি কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। প্রায় তিন মাসব্যাপী চলা তদন্ত কমিটির কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে জানান, সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। আমি প্রথমে ধন্যবাদ দেই কমিটিকে, যারা দীর্ঘ সময় কষ্ট করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আমাকে দিয়েছে। আমরা এখন দ্রুত একটি নির্বাহী কমিটির সভা ডাকবো। সেই সভায় প্রত্যেকে প্রতিবেদন দেখবে, মতামত দেবে। সেই মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে।’
আবু নাঈম সোহাগ কাণ্ডে বিব্রত বাফুফে। ফেডারেশনের ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডে এমন ঘটনা আর ঘটবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘চেষ্টা করব ভবিষ্যতে যেন এ রকম না হয়। ঝড় আসবে না এ রকম ওয়াদা কেউ করতে পারে না।’
এর আগে তদন্ত কমিটি প্রধান বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ প্রতিবেদন জমা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল একটি প্রতিবেদন তৈরি করা। নির্বাহী কমিটি আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছিল আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিবেদন জমার মধ্যে দিয়ে আমাদের কাজও শেষ হলো।’
তদন্তে বাফুফের অফিসিয়াল বা নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্যের নাম উঠে এসেছে কিনা, এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি নাবিল। তবে জানালেন, তাদের কিছু সুপারিশ আছে, যেগুলো বাস্তবায়ন হলে আগামীতে বাফুফের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছ্বতা বাড়াবে।
তিনি বলেন ”ফিফার অভিযোগগুলো আমরা আরও গভীরে গিয়ে খতিয়ে দেখেছি। এর সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত ছিল, সেগুলো হয়ত পরবর্তীতে বাফুফেতে সংরক্ষিত থাকবে। কিছু সুপারিশও আছে। আমাদের এই কমিটি করা হয়েছে, বাফুফের কার্যক্রমকে আরও তরান্বিত করার জন্য। ভবিষ্যতে যেন এই প্রশ্নগুলো না ওঠে, সেজন্য। ভবিষ্যতে যারা কাজ করবে, তারা যেন আমাদের এই ফাইন্ডিংস থেকে কাজ করতে পারে, যাতে করে ফিফা বা এএফসি থেকে এ ধরনের অভিযোগ না আসে। কমিটির সবাই সম্মিলিতভাবেই এই কাজটি করেছি। নিজেদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট আমরা।”