বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২৩টি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫টি ভোট।
বাফুফে নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর দুটো থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ছিল ভোটের সময়সীমা।আধঘণ্টার ভেতরেই সভাপতি পদে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। চট্টগ্রাম আবাহনী, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ভোট দিতে আসেননি।
সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাড়া সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্য পদে ভোট হয়েছে। এই ২০ পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৪৫। ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে প্রার্থী ৩৭ জন, ৪ সহ-সভাপতি পদে ৬ জন ও সভাপতি পদে ২ জন রয়েছেন।
ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ভোট গণনা করে। নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে - সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য এই ক্রমান্বয়ে ভোট গণনা হয়। কাউন্সিলরদের ভোটে বাফুফের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচিত হন। বাফুফে নির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৪ বছর।
দেড় দশকের বেশি সময় পর নতুন নেতৃত্ব পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রথমবারের মতো দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পেলেন তাবিথ।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে শনিবার বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভার পর ভোটের লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ জয় পান তাবিথ। দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরিকে ভোটে হারান একাধারে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও ক্রীড়া সংগঠক ব্যক্তিত্ব তাবিথ।
গত মাসে কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার পরই নিশ্চিত হয়ে যায়, প্রায় ১৬ বছর পর বাফুফে প্রধানের চেয়ারে বসবেন নতুন প্রধান।
২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন তাবিথ। ২০২০ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মহি উদ্দিন মহির সঙ্গে ৬৫-৬৫ ভোটে ড্র হয়। এরপর পুনরায় ভোট হলে ৬৭-৬৩ ভোটে হেরে যান তাবিথ। চার বছর পর এবার সর্বোচ্চ পদে বসবেন তিনি।
আরও ১৯টি পদে ভোট হয়েছে শনিবার। ভোটের লড়াইয়ের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গেছেন বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।