চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার এইটের এক ম্যাচের ওপর ঝুলছিল তিন দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। শেষ চারের লক্ষ্যে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো বাংলাদেশের। সেটা তো দূরের কথা, ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়ে মাত্র ৮ রানে হেরে যায় তারা।
এই জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ারও।
ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ১৩০-১৩৫ ভালো সংগ্রহ। কিন্তু আমরা ১৫ রান কম করেছি। আমরা জানতাম যে বাংলাদেশ চালিয়ে খেলবে আর আমাদেরকে সুযোগ গুলো নিতে হবে। আমাদের অতিরিক্ত কিছু করার দরকার ছিল না, শুধুমাত্র নিজেদের পরিকল্পনামতো খেলার চেষ্টা করলেই যে হতো এটা আমরা জানতাম।’
সেমিফাইনালে উঠে ব্রায়ান লারাকে ধন্যবাদ দিয়ে রশিদ বলেন, ‘কেবলমাত্র ব্রায়ান লারা বিশ্বাস করেছিলেন যে আমরা সেমিতে উঠতে পারব। আমরা তাকে ঠিক প্রমাণ করেছি। আমরা যখন তার সঙ্গে একটা পার্টিতে দেখা করেছি, তখন তাকে বলেছিলাম যে আমরা তাকে হতাশ করব না।’
আফগানিস্তানের জনগণকে নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমরা ঘরের লোকদের খুশি করতে চেয়েছি। সবাই এটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। আফগানিস্তানে এখন দারুণ উৎসব চলছে। আমাদের জন্যও এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে এর আগে এখানে পৌঁছেছি, কিন্তু এটা বিশ্বকাপ। আমার বলার ভাষা নেই যে আফগানিস্তানে এখন কতবড় উৎসব চলছে।’
মঙ্গলবার কিংস্টনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।