২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলেন ড্যারেন ব্রাভোর। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকায় ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আবারও জাতীয় দলের ফেরার জন্য সংগ্রাম চালান এই ব্যাটার। সেই লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ সুপার ফিফটি কাপে ৮৩ দশমিক ২০ গড়ে সর্বোচ্চ ৪১৬ রান করেন ব্রাভো। এতেই তিনি আশায় বুক বেঁধে ছিলেন এবার হয়ত জাতীয় দলের দরজা খুলবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে নিজের নাম না দেখতে পেয়ে হতাশই হয়েছেন ব্রাভো। সেই হতাশার কারণেই ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ক্যারাবিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটার।
এক্স-এ ৩৪ বছরের ক্রিকেটার লিখেছেন, “একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, সেটা ভাবার জন্য কিছুটা সময় নিয়েছি। আমার ক্যারিয়ারের এই মুহূর্তে এসে এটা সহজ নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য আমার শক্তি, আবেগ, শৃঙ্খলা, সামর্থ্য দিয়ে সবরকমভাবে চেষ্টা করেছি দীর্ঘ দিন ধরে।”
সিনিয়র ওয়ানডে দল তো বটেই, ব্রাভো জায়গা পাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যাকাডেমি কিংবা ‘এ’ দলেও। আয়ারল্যান্ড অ্যাকাডেমির বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলছে অ্যাকাডেমি দল এবং ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলছে আন-অফিশিয়াল টেস্ট।
হতাশা প্রকাশ করে ব্রাভো আরও লিখেছেন, “কোনও পর্যায়ের যোগাযোগ ছাড়াই আমাকে অন্ধকারে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনটি দল তিন ধরনের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজর প্রতিনিধিত্ব করছে। সব মিলিয়ে ৪০-৪৫ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতে যথেষ্ট রান করার পরেও যদি কোনও দলেই আমার জায়গা না হয়, তা হলে বার্তা খুব স্পষ্ট। ঘুরিয়ে বলেই দেওয়া হচ্ছে, কী আমার ভবিষ্যৎ।”
এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না ব্রাভো। নতুনদের জায়গা করে দিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক সময়ের জন্য নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন এই ব্যাটার। ব্রাভো বলেন, “আমি হাল ছাড়ছি না। কিন্তু বিশ্বাস করি কিছু সময়ের জন্য আমার দূরে সরে যাওয়া উচিত এবং সম্ভবত তরুণ প্রতিভাবানদের জায়গা করে দেওয়া উচিত। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।”
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে ৫৬ টেস্ট, ১২২ ওয়ানডে ও ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ব্রাভো। তার বড় ভাই সাবেক অধিনায়ক ডোয়াইন নির্বাচকদের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের প্রতি দুর্ব্যবহার, অসম্মান ও অসততার অভিযোগ করেন।