চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুর্বার রাজশাহীসহ বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়দের টাকা না পাওয়া নিয়ে তোলপাড় পুরো ক্রিকেট মহল।
খেলোয়াড়দের টাকা না দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বিরুদ্ধে। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না দেওয়া সহ একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছে রাজশাহী, একই অভিযোগ রয়েছে চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধেও।
ইতোমধ্যেই বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) নজরে রয়েছে এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি। বুধবার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে। যদিও সেই বৈঠকে হাজির ছিল না চিটাগংয়ের মালিক। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রিকেটারদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। যদিও খুলনার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বেতন দেওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই।
মেহেদি জানান, তিনি এই ধরণের পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেননি। মনে করেন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য সমস্যাগুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘আমরা আগে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। এমন ঘটনা প্রত্যেকের কাছে প্রথম। সবাই একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি মনে করি সবার একে অপরকে সমর্থন করা উচিত। আপনি দেখেছেন যে টিকিটের জন্য গেট ভাঙা হয়েছে। যখন একটি নতুন পরিবেশ আসে, তখন সেটা কঠিন হয়। এবার ঘটনা ভিন্নভাবে ঘটছে, কিন্তু মানুষের একে অপরকে সমর্থন করা উচিত। যে সমস্যাগুলি হচ্ছে, আমি মনে করি বোর্ডের লোকজন ভালোভাবে ম্যানেজ করবে। শেষ পর্যন্ত যদি জিনিসগুলি ঠিকঠাক না হয়, তবে এটা আমাদের সকলের জন্য অসম্মানের হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যদি পুরো বিষয়টা ঠিক ভাবে সামলাতে না পারি তবে তা আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য বদনাম বয়ে নিয়ে আসবে। তাই প্রত্যেকের কর্তব্য এটা নিশ্চিত করা যে আমাদের দেশের ক্রিকেট যেন কলঙ্কিত না হয়।’
মিরাজ নিশ্চিত করেছেন যে তার দলে এই মুহূর্তে বেতন নিয়ে খুব বেশি সমস্যা নেই। তিনি বলেন, ‘৪০ শতাংশ টাকা পেয়ে গেছি। মালিক পক্ষ জানিয়েছে, এ সপ্তাহের মধ্যে আরও ৩০-৩৫ শতাংশ টাকা দিয়ে দেবে।’
মেহেদি বলেন, ‘অবশ্যই বিষয়টা খারাপ লাগছে। দিনের শেষে তো আমরা ক্রিকেট খেলি টাকার জন্য। যদি বেতন না পাই, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যই খারাপ। যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড আমাদের অভিভাবক,তাদের অবশ্যই সবার সঙ্গে কথা বলা উচিত।’