• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
অ্যাশেজ

বৃথাই স্টোকসের সেঞ্চুরি, লর্ডসেও হারল ইংলিশরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম
বৃথাই স্টোকসের সেঞ্চুরি, লর্ডসেও হারল ইংলিশরা

লর্ডসের সমস্ত রোমাঞ্চ জমা হয়ে ছিল পঞ্চম দিনের জন্য। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টটি জেতার জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৫৭ রানের। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৬ উইকেটের। এই সমীকরণের মাঝখানে দেওয়াল হয়ে ছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস ও ওপেনার বেন ডুকেট। সেই প্রতিরোধ ভেঙে দলকে ৪৩ রানের জয় এনে দিলেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। এই জয়ে চলতি অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। এর আগে বার্মিংহামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো দ্বৈরথ ক্রিকেটপ্রেমীদের কখনোই হতাশ করে না। এবারও করেনি। রোমাঞ্চের পুরোটুকু উসুল করে লর্ডস জয় করে নিল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আরেকবার ‘ক্লাস’ ক্রিকেটের কাছে নতজানু হলো ইংল্যান্ডের বাজবল।

টস হেরে প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রান করে অল আউট হয় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৯ রান করলে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ দাঁড়ায় ৩৭১ রানের।

পঞ্চম দিনের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে দারুণ প্রতিরোধ তুলে ‍ডুকেটকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন স্টোকস। দুইজন মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ইংলিশদের আশার প্রতিরোধ ভাঙেন জশ হ্যাজেলউড। ডুকেটকে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ফলে ব্যক্তিগত ৮৩ রানে থেমে যায় ইংলিশ ওপেনারের ইনিংস। তবে ইংলিশদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেন জনি বেয়ারস্টো। ক্যামেরন গ্রিনের বলে অদ্ভুত এক আউট হন তিনি। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বেয়ারস্টো। হয়তো ভেবেছিলেন বলটি ডেড হয়ে গেছে। কিন্তু ক্যারি দূর থেকে স্টাম্প ভাঙতে মোটেও ভুল করেননি। পরে টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ইংলিশ উইকেটকিপার।

এরপরও দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন স্টোকস। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের ১৩ তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। কিন্তু দলীয় ৩০১ রানের মাথায় হার মানেন তিনিও। ডুকেটের মতো স্টোকসও হ্যাজেলউডের বলে ক্যারির গ্লাভসে বল জমা দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে সঙ্গে ‘মাঠ ছাড়ে’ ইংলিশদের জয়ের স্বপ্নও। ২১৪ বল খেলে ১৫৫ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। তার ৩০০ মিনিটের ইনিংসে ছিল ৯টি করে ছক্কা ও চারের মার।

এরপর জয়ের বাকি কাজ সারতে বেশি সময় নেননি অজি বোলাররা। ইংল্যান্ডকে তারা গুটিয়ে দেন ৩২৭ রানে। আর এর মধ্যে দিয়ে ৪৩ জয় নিশ্চিত হয় প্যাট কামিন্সদের।

Link copied!