বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের রেস থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড। এখন তাদের চোখ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়া। সেই লক্ষ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। পুনেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান তোলে ইংলিশরা। এই ম্যাচে ডাচদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৪০ রান।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান আক্রমণাত্মক শুরু করেন। তবে সেই আক্রমণাত্মক রূপ বেশিক্ষণ রাখতে পারেননি বেয়ারস্টো। এই ব্যাটার ১৭ বলে ২ চারে ১৫ রান করে আরিয়ান দত্তর শিকার হয়ে ফেরেন। এরপর মালানের সঙ্গে ৮০ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন জো রুট। এই জুটি ভাঙে লোগান ফন বিকের বলে ২৮ রান করা রুট বোল্ড আউট হলে।
রুটের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে মাঠে নামেন ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাওয়ার কারিগর স্টোকস। এই অলরাউন্ডার মাঠে নামার পরের ওভারেই রান আউটে কাটা পরে দুর্দান্ত খেলতে থাকা মালান ১৩ জন্য সেঞ্চুরি মিচ করার আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন। ৭৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি সাজান এই ইংলিশ ওপেনার।
মালানের বিদায়ের পর থ্রি লায়ন্সদের তিন ব্যাটার ফিরে গেছেন দ্রুত। হ্যারি ব্রক ১১ রানে আর অধিনায়ক জস বাটলার ও মঈন আলি ফিরেছেন ব্যক্তিগত এক অঙ্কের রানের ঘরে। ইংল্যান্ডের ইনিংস তিনশ ছাড়াতে স্টোকস ও ক্রিস ওকসের ৮১ বলে ১২৯ রানের পার্টনারশিপটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জুটিতে স্টোকস বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। আর অন্যপ্রান্তে ওকস তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি।
ইংল্যান্ডের এদিনের সর্বোচ্চ রানের জুটি ভাঙে ৫১ রানে ওকস বিদায় নিলে। সেঞ্চুরি করা স্টোকসও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। নির্ধারিত ওভারের শেষ ২ বল আগে ফন মিকেরনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তেজা নিদামানুরুর হাতে ধরা পড়েন। এতেই এই অলরাউন্ডার থামেন ৮৪ বলে ৬ চার ও সমান ছক্কায় ১০৮ রান করে। আর ইংল্যান্ড থামে নির্ধারিত ওভার শেষে ৩৩৯ রানে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে বাস ডি লিডি ৭৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন।