জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে দুইটি মাঠ ২৫ বছরের জন্য লিজ পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম ও বাফুফে ভবনের পাশের মাঠটি আগামী ২৫ বছরের জন্য বাফুফে ব্যবহার করার সম্মতি পেয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিক এক সম্মতিপত্রের মাধ্যমে বাফুফেকে দুই স্থাপনা পরবর্তী ২৫ বছর ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদান করেছে সরকারি এই ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
এই দুটি মাঠ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে বাফুফে ব্যবহার করে আসছে। তবে এই দুইটি মাঠের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা আবারও লিজের জন্য আবেদন করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই আবেদন পর্যালোচনা করে মঞ্জুর করেছে। তবে সরকারি এই ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নতুন এই সম্মতিপত্রে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বাফুফে ফুটবল উন্নয়ন ও পরিচালনা কর্মকাণ্ড করতে পারলেও বাণিজ্যিক কোনো কাজ করতে পারবে না এই ফুটবল মাঠ দুইটিতে। বাফুফেকে এই শর্ত মেনেই ২৫ বছর এই স্থাপনা ব্যবহার করতে হবে।
কামাল স্টেডিয়ামে টার্ফ বসাতে সহযোগিতা করেছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। সেই টার্ফের মেয়ান উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে আবারও নতুন টার্ফ বসাতে হবে। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মতিপত্র পেয়ে বাফুফে এখন ফিফার সঙ্গে আলোচনা করবে। টার্ফ স্থাপিত হবে ফিফার অর্থায়নে। ফিফার অন্যতম শর্ত জমির মালিকানা বা ব্যবহার স্বত্ব ফেডারেশনের অধীনে থাকতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় সকল স্থাপনাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমতি পাওয়ায় এখন ফিফার প্রজেক্ট বাস্তবায়নে আর বাধা নেই ফুটবল ফেডারেশনের।
ফিফার সঙ্গে বাফুফের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে আরো কয়েক মাস লাগবে। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে টার্ফ পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হবে।