দুই বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন বেন স্টোকস। এরপর ২০২৩ সালে ভারত বিশ্বকাপে দলের প্রয়োজনে সাড়া দিয়ে ফের দলে ফেরেন তিনি। এই আসরে সপ্তম স্থান থেকে দলের বিদায় হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সবার প্রশংসা কুড়ান স্টোকস। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে ৬ ম্যাচে মোট ৩০৪ রান করেন ৩৩ বছর বয়সী ইংলিশ অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এসে বিশ্বকাপের পর ফের ওয়ানডে ক্রিকেটের বাইরে চলে যান স্টোকস। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সীমিত ওভার বা সাদা বলের ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
সাদা বলের নতুন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কৌশলে উজ্জীবিত হয়েই নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন স্টোকস। নিউজিল্যান্ডের এই কোচের সঙ্গে জুটি করে খেলতে চান তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে যেভাবে ইংল্যান্ডকে মেলে ধরতে সহায়তা করেছেন, সাদা বলে দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে ইংল্যান্ডকে ভালো অবস্থান নিয়ে যাবেন ম্যাককালাম- এমনই বিশ্বাস স্টোকসের।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলেন, ‘‘যদি আমি ডাক পাই এবং (ইংল্যান্ড দল) আমাকে বলে, ‘তুমি কি এসে খেলতে চাও?’ স্পষ্টতই আমি হ্যাঁ বলবো। কিন্তু যদি ডাক নাও পাই, তাহলে খুব বেশি অখুশি হবো না। কারণ, আমি কেবল বসে থাকতে পারি এবং অন্য সবাইকে যেতে এবং খেলতে দেখতে পারি।’
স্টোকস আরও বলেন, ‘বাজবল ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে যা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, সাদা বলের দলের তা অনুভব করার আশ্চর্যজনক সুযোগ এসেছে। তিনি (ম্যাককালাম) একজন অবিশ্বাস্য কোচ। যিনি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা বলেন। এখন তিনটি দল একই বার্তা এবং একই দর্শনের সঙ্গে যুক্ত করে ভালো কিছুই করবে।’
সাক্ষাৎকারে তরুণ তারকাদেরও প্রশংসা করেন স্টোকস। তিনি বলেন, ‘এই সাদা বলের দলটি নতুন পথে গেছে। আমরা কিছু অবিশ্বাস্য প্রতিভা দেখেছি। উদাহরণস্বরূপ, জ্যাকব বেথেল। আমি মনে করি সে (বেথেল) একজন সুপারস্টার হতে চলেছে।’
নিজের খেলায় সস্তোষ প্রকাশ করে স্টোকস বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডের হয়ে অনেক সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছি। এই খেলায় আমি যা অর্জন করেছি তাতে আমি খুব খুশি এবং সন্তুষ্ট।’