আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে মনে রাখার মতো অভিষেক হয়েছে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। তানজিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জার্সি গায়ে জড়িয়েই আলো ছড়িয়েছেন। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ভারতের বিপক্ষে তার চতুর্থ ডেলিভারিতে ফিরিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এই ম্যাচের ডেথ ওভারে দারুণ বল করে বাংলাদেশকে জয়ের আনন্দে ভাসান। এরপর তার পুরোনো এক ফেসবুক পোস্টে কর্মজীবী নারীদের হেয় এবং নারীবিদ্বেষী স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জন্মদেন তিনি। তানজিমের এই পোস্টে নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের সদ্য জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জরানো ক্রিকেটার তানজিমকে নিয়ে বিতর্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এটা নিয়ে বিভিন্ন জন্য বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এই বিতর্ক পোঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কান পর্যন্ত। এরপর বিসিবি তানজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, “আমরা এ বিষয়টা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ওর সঙ্গে কথা বলছি। কথা বলে নিই, তারপর জানাব। ওর একটা ভুল হয়েছে, আমরা সেই বিষয়টা ওর কাছ থেকেই জানতে চাচ্ছি।”
২০ বছর বয়সী এই পেসারের নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সরব ছিলেন। তার এই পোস্টগুলি প্রকাশ্যে আসার পরে নারী অধিকার কর্মী এবং নারীবাদী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তানজিম তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।”
বাংলাদেশের জিডিপির এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গার্মেন্ট শিল্প। আর এই পোশাক কারখানাগুলোতে বেশির ভাগই নারী শ্রমিক। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ব্যাপকভাবে রয়ে গেছে বলে মনে করছেন নারীবাদী লেখক, সংগঠকগুলো। প্যারিস-ভিত্তিক নারীবাদী লেখিকা জান্নাতুন নাঈম প্রীতি উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশ দলের জার্সিগুলি যে কারখানায় তৈরি করা হয়, সেগুলো বেশিরভাগ নারীদের হাতে তৈরী। তাহলে তিনি এটা কেন পরছেন।
তানজিম ছেলেদের সতর্ক করে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের যেন বিয়ে না করেন তারা। তানজিম পোস্টে লিখেছেন, “ভার্সিটি ফ্রি মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক, নিজের সন্তানের জন্য একজন লজ্জশীলা মা দিতে পারবেন না।”