তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে উত্তাল ক্রিকেট পাড়া। ক্রিকেটার ও আম্পায়ার কমিটির চাপে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই সমস্যা সমাধানে এর মাঝেই মোহামেডানের ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা এগারোটা নাগাদ তামিম ইকবালের প্রবেশের পর ক্রিকেটারদের আনাগোনা আরো বাড়তে শুরু করে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের পাশাপাশি দেখা যায় নাঈম শেখ এমন কী শরিফুল ইসলামদেরও।
একাডেমি ভবনে আলোচনায় বসেন ক্রিকেটাররা। যা চলে দীর্ঘক্ষণ। এরপর জুমার নামাজের বিরতির পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে থাকবেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুও। মিটিং শেষে জানা যাবে বিস্তারিত।
গত ১২ এপ্রিল ডিপিএলে রাউন্ড রবিন লীগের শেষ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন হৃদয়। তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তরফে আপিলও করা হয়েছিল। এরপর হৃদয়ের শাস্তি এক ম্যাচে কমিয়ে এনেছিল লিগ কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
তাই লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে না খেললেও গত রোববার অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দেন হৃদয়। কিন্তু পরে জানা যায়, মোহামেডানের চাপে পড়ে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি হৃদয়কে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়। যে প্রক্রিয়াটি ছিল পুরোপুরি নিয়মবহির্ভূত। কারণ, শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ারই নেই বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের।
এরপর বিসিবির চাকরি ছাড়ার হুমকি দেন আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের একমাত্র আম্পায়ার সৈকত। এমনকি সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে এনামুল হক মনিও পদত্যাগ করেন।
যার ফলে হৃদয়ের এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমানোর সেই সিদ্ধান্ত এখন বাতিল করেছে লিগের টেকনিক্যাল কমিটি। এরপরই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তামিম ইকবাল। এখন হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু কোথায় গিয়ে থাকে সেটাই দেখা বিষয়।