জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। তার জন্মদদিন উপলক্ষ্যে মিরপুরে আয়োজন করা হয়েছিলো দু’আ মাহফিলের। এরপর এতিমখানার ছাত্রদের হাতে খাবার তুলেন দেন বিসিবির দুই পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও ফাহিম সিনহা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির অন্য কর্মকর্তারা।
শুধু মিরপুরেই নয়, পুরো দেশজুড়েই এ উপলক্ষে নানা আয়োজন ছিল বিসিবির। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দারুণ কাজ করেছিলেন শেখ কামাল। গড়েছিলেন আবাহনী ক্লাব। তার জন্মদিনে সবমিলিয়ে ১৫শ এতিম ও মাদরাসা ছাত্রকে খাবার দিয়েছে বিসিবি।
এ নিয়ে মিরপুরে সাংবাদিকদের বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, “শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া সংগঠকই। স্বাধীনতার পরে তার হাত ধরে ক্রিকেটটা বিশেষ করে, ক্রিকেট তো তখনও এত জনপ্রিয় ছিল না। তার হাত ধরেই কিন্তু তখন আমাদের এটা শুরু হয়। তিনি একাধারে ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ফুটবল খেলতেন। শেখ কামালের হাত ধরেই আবাহনী ক্লাবের জন্ম। আমরা যেটা বলি, আবাহনীর মাধ্যমেই আধুনিক ফুটবল বাংলাদেশে সূচিত হয়েছে। তার মতো বড় মাপের ক্রীড়া সংগঠক বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আর এসেছে বলে আমাদের জানা নেই। ”
তিনি আরও বলেন, “তার জন্মদিনে আমরা প্রতিবারই এরকম আয়োজন রাখি। আজকেও আমরা ১০টা মাদ্রাসার প্রায় ১৫শ এতিম ও মাদ্রাসা ছাত্রের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। তিনটা জায়গায় আমরা মিলাদ মাহফিল করেছি। কক্সবাজারে যেহেতু উনার নামেই একটা স্টেডিয়াম আছে, ওখানে বড় করে মিলাদ আয়োজন করা হয়েছে। আজকে দিনব্যাপী উনার জন্য নানান অনুষ্ঠান রয়েছে। মাননীয় বোর্ড সভাপতিরও এখানে থাকার কথা ছিল। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলছে, তাই বোর্ড সভাপতি এখানে এখনও আসতে পারেননি। বিকেলেও আবাহনী ক্লাবে একটা শোকসভা হবে। এসব কার্যক্রম আমরা করেছি।”
ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে শেখ কামালের নামে। শনিবার (৫ অগাস্ট) সেই পুরস্কার পেয়েছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদও।
এ নিয়ে মল্লিক বলেন, “অবশ্যই আমাদের ক্রিকেটার বা সংগঠক যারাই পুরস্কারটা পায়, আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপার। উনার নামটা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে এমনভাবে জড়িত, উনার নামের পদক পাওয়া আমাদের জন্য বিশেষ কিছু।”