উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনাতে সাত গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে জয় উৎসব করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ইউনাইটেড ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ম্যাচে ফিরেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলটার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার ভুলে রেড ডেভিলসদের ৪-৩ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পর আরও একবার দুই দলের মাঝে দেখা গেল ক্লাসিক ফুটবলের লড়াই।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় বায়ার্নের ঘরের মাঠে দাপুটে শুরু পেয়েছিল ম্যান ইউনাইটেড। প্রথম ১৫ মিনিটেই অন্তত দুবার এগিয়ে যাবার সুযোগ ছিল সফরকারীদের সামনে। তবে গোলমুখে ফিনিশিং টাচটা দিতে পারেননি দলের ফরোয়ার্ডরা। ধীরে ধীরে ঘরের মাঠে বায়ার্ন নিজেদের অধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। তাতে তারা আক্রমণ করলেও ডিফেন্সের কসাই খ্যাত লিসান্দ্রো মার্টিনেজ এবং ভিক্টর লিন্ডেলফরো স্বাগতিকদের হতাশা করেছেন।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে লিড নেয় বাভারিয়ানরা। প্রথম গোলে বায়ার্নের কৃতিত্বের চেয়ে ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার ভুলটাই বেশি চোখে পড়ে। লেরয় সানে জোরাল শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। ওনানা ছিলেন বলের লাইনেই। তবে নিরীহদর্শন সেই শট হাত ফসকে গেল বল জালে জড়ায়। এতেই যেন মনে হলো বায়ার্নকে ইচ্ছা করে এক গোল উপহার দিল ইউনাইটেড।
প্রথম গোলের ৪ মিনিট পরেই জার্মান ক্লাবটার লিড দ্বিগুণ করে। জামাল মুসিয়ালার পাস থেকে গোল করেন জার্মান স্ট্রাইাকর সার্জি ন্যাব্রি। বায়ার্ন অবশ্য আরেকটা গোল পেতে পারতো। তবে, সানের বাঁকানো শট বেরিয়ে যায় পোস্টের কোণা দিয়ে। ন্যাব্রির গোলেই ২-০তে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফরকারিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেড মাঠে নেমে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন হয়লুন্দ। ৪৯ মিনিটে রাশফোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া বলে শট নিয়েছেন। কিম মিন জায়ের পায়ে গেলে সেই বল গতি পালটে চলে যায় জালে। এরপরেই আবার ম্যাচে লিড বাড়িয়ে ৩-১ করে বায়ার্ন। ৫৩ মিনিটে এরিকসেনের হ্যান্ডবলের সূত্রে পাওয়া পেনাল্টিতে বায়ার্নের হয়ে স্পট কিক থেকে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন কেইন।
এরপর ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে দর্শকরা দেখেছে আরও তিন গোল। দুটো এসেছে ইউনাইটেডের ক্যাসেমিরোর কাছ থেকে আর একটি এসেছে ম্যাথিস টেলের পা থেকে। তাতেই রোমাঞ্চকর এই ম্যাচ শেষ হল ৪-৩ গোলের ব্যবধানে।