তারকায় তারকায় ঠাসা বায়ার্ন মিউনিখ ও আর্সেনালের মধ্যকার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি ২-২ গোলে শেষ হয়েছে। যেহেতু ম্যাচটি আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় লেগ ম্যাচটি হবে জার্মান ক্লাবটির স্টেডিয়ামে, সেহেতু িএক হিসেবে এগিয়ে থাকলো বায়ার্নই।
সার্জ ন্যাব্রির ক্যারিয়ার শুরু আর্সেনালে। পরে চলে গেছেন জার্মান ক্লাব বায়ার্নে। ন্যাব্রি এবার খেলতে এলেন আর্সেনালের মাঠেই। বায়ার্নের আরেক তারকা হ্যারি কেন নিজের পুরো সময় কাটিয়েছেন আর্সেনালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব টটেনহ্যামে। বহুবারই আর্সেনাল সমর্থকদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। দল পাল্টে বায়ার্নে এলেও পুরাতন অভ্যাসের নজির দেখালেন। গোল করে গানার্সদের বিপদ বাড়িয়ে দিলেন।
কিন্তু আর্সেনাল তো হাল ছাড়ার দল নয়। বদলি নামা লিয়ান্দ্রো টোসার্ড সমতাসূচক গোল করে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠের মান রেখেছেন গানার্সদের।
ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল পেয়েছিল গানার্সরাই। দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে লিড এনে দেন উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। তার শট ঠেকানোর সাধ্য ছিল না বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের।
তবে লিড খুব বেশিক্ষণ টেকেনি। গ্যাব্রিয়েল এবং ডেভিড রায়ার হাস্যকর ভুলের সুযোগ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় বায়ার্ন। সেখানেই গোল করে বসেন সার্জ ন্যাব্রি। ১৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেলে বাভারিয়ানরা। এর খানিক বাদেই ভুল করেন উইলিয়াম সালিবা। লেরয় সানেকে ফাউল করে বসেন ডিবক্সে। পেনাল্টিতে দলের দ্বিতীয় গোল করেন হ্যারি কেন। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে টানেলে ফেরে আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধে টোসার্ডকে নামান আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। এতে যেন ভাগ্য ফেরে আর্সেনালের। দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে সমতায় আনেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। শেষদিকে কিংসলে কোমানের শট বারে লেগে ফিরলে লিড থেকে বঞ্চিত হয় জার্মান ক্লাবটি।
মাঝে আর্সেনাল একাধিকবার সুযোগ পেলেও নিজেদের ব্যর্থতায় তা আর গোলে পরিণত করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এসে তাই ড্র দিয়েই শেষ হলো আর্সেনালের প্রথম ম্যাচ।