বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স দেশে ফিরে গেছেন। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায়ে বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে রদ বদল হচ্ছে। যাদের সঙ্গে মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। সেই হিসেবে সিডন্সের সঙ্গেও চলতি মাস পর্যন্ত বিসিবির চুক্তির মেয়াদ ছিল। কিন্তু চুক্তি নবায়ন না করার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১২ দিন আগেই এই ব্যাটিং কোচ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে গেছেন।
তবে ভবিষ্যতে কোন প্রয়োজন যদি হয়, তাহলে আবারো আগামী বছর তাকে ফেরাতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শনিবার (১৮ নভেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
সিডন্সের চুক্তির মেয়াদ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, “জেমি সিডন্স এখন আর আমাদের সঙ্গে নেই। প্রোগ্রাম যখন থাকে তখন মনে হয় তাকে ডাকা হয়। এভাবেই তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বা মাসিক চুক্তি হয়েছে কিনা আমি জানি না। আমি যতটুকু জানি বছরে কতদিনের জন্য কাজ করবে এই ব্যাপারে চুক্তি আছে।”
বাংলাদেশের সঙ্গে সিডন্স এর আগেও একবার কাজ করে ছিল। প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হয়ে সাকিব-তামিমদের ব্যাটিংয়ে ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন এই অজি। যার সুবাদে অ্যাশওয়েল প্রিন্স দায়িত্ব ছাড়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আবার ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি।
কিন্তু চান্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সিডন্সকে। তাকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন মজবুতের কথা ভেবে। এইচপির ব্যাটিং পরামর্শকও ছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায়ে বাংলাদেশ দলের বিশাল কোচিং প্যানেলের অনেক জনকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেননি পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, পারফরম্যান্স বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর এবং ব্যাটিং কোচ সিডন্স। এদিকে সপ্তাহখানেক পরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এত অল্প সময়ের মধ্যে টাইগারদের জন্য বোলিং কোচ খুঁজে আনাও সম্ভব না।
তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য আপাতত বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে যোগ হয়েছেন বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের বোলিং কোচ কোরি কলিমোর। এছাড়া এইচপির প্রধান কোচ ডেভিড হেম্পকেও যুক্ত করা হয়েছে ব্যাটিং কোচ হিসেবে।