মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার বিপক্ষে হার দিয়ে এএফসি কাপের যাত্রাটা শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই হারের প্রতিশোধ নিল তারা। ঘরের মাঠে নাটকীয় এক জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা। পিছিয়ে পড়েও মালদ্বীপের ক্লাবটিকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই দারুণ ফুটবল খেলতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। পুরো ম্যাচে ছিল তাদের আধিপত্য। ৬৪ শতাংশ বল ছিল তাদের দখলে। মোট শট নিয়েছিল তারা ১৭টি যেখানে অন টার্গেট ছিল ছিল ৮টি। মাজিয়া বসুন্ধরার অন টার্গেট সমান শটও নিতে পারেনি। ৭ শটের ভিতর অন টার্গেট ছিল দুটি। দারুণ খেলতে থাকা বসুন্ধরা কিংস তারপরও শুরুতে গোল খেয়ে বসেন।
ম্যাচের ১০ মিনিটে নিজেদের ভুলেই মাজিয়াকে গোল উপহার দিয়েছে কিংস। তারিক কাজী ব্যাকপাসে বল দেন গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকে। তিনি বল ক্লিয়ার না করে বক্সেই সতীর্থকে পাস দিতে চেয়েছিলেন। তবে সেই পাস নিয়ন্ত্রণে নেন মাজিয়ার ভোজিস্লাভ বালাবানোভিচ। রিবাউন্ড বলে শট করে দলকে এগিয়ে দেন রিগান ওবেং।
২৭ মিনিটে আবারও বল জালে জড়িয়েছিল মাজিয়া। তবে হ্যান্ডবলের কারণে গোলের বাঁশি বাজাননি রেফারি। ৪১ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোল বঞ্চিত হন মাজিয়া।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটেই বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা ক্রসে হেড করেন সাদ উদ্দীন। ফিরতি বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি এমনফন।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় কিংস। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। তবে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। মোরসালিনের কর্নার থেকে হেডে দলকে সমতায় ফেরান ববুরবেগ। উল্লাসে ফেটে পড়ে কিংস অ্যারেনা। প্রাণ ফিরে আসে ম্যাচে। কিংসরা ধার বাড়ায় আক্রমণের।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেন মিগেল দামাসেনা। দরিয়েলতনের ব্যাকপাস থেকে প্রায় ত্রিশগজ দূর থেকে শট করে গোলরক্ষকের উপর দিয়ে বল জালে জড়ান মিগেল। এরপর আর কোন বিপদ ঘটেনি। জয় নিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে কিংসরা।
এই জয়ের ফলে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই ভারতের ক্লাব ওড়িশার বিপক্ষে মাঠে নামবে কিংস। ঐ ম্যাচে জয় পেলেই খেলবে জোনাল সেমিফাইনালে। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। ওড়িশার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে আগামী ১১ ডিসেম্বর।