শুরুতে ফজলে মাহমুদ, মাঝে সাকিব আল হাসান আর শেষে ইফতিখার আহমেদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে খুলনা টাইগার্সের শাই হোপ আর ইয়াসির আলি ছাড়া কেউ ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি।
যদিও শেষ পর্যন্ত এই দুজনের ব্যাটিংয়ে শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে খুলনা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) খুলনাকে ৩৭ রানে হারিয়েছে বরিশাল। এই জয়ে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করলো সাকিব আল হাসানের বরিশাল। আর এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল খুলনার।
দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফজলে মাহমুদ ও ইব্রাহিম জাদরান জুটি হাল ধরেন।
দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৭৩ রানে। মাহমুদ আউট হন। দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। ইব্রাহিম ২৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান।
দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ বরিশালের পক্ষে নিয়মিত পারফর্ম করা জুটি। তাদের জুটি এই ম্যাচেও ভালো পার্টনারশিপ গড়ে। তবে দলীয় ১৪৯ রানে সাকিব ২১ বলে ৩৬ রান করে আউট হন।
তিনি আউট হলেও ইফতিখার ফিফটি তুলে নেন। ৩ চার ও ৩ ছয়ে তিনি ৩১ বলে অপরাজিত ৫১* রান করেন। এই মৌসুমে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছয় এসেছে এই পাক তারকার ব্যাট থেকে।
ইফতিখারকে সঙ্গ দিয়েছেন করিম জানাত। তিনি ৮ বলে ১৬ রান করেন। বরিশালের ইনিংস থামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে। ৪৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে খুলনার সেরা বোলার পল ম্যাকেরিন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় তিন রানে তামিম ইকবালের উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। এরপর তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক শাই হোপ আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও অন্যপ্রান্তে রান করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নি।
দলীয় ৪৭ রানে ফেরার আগে ব্যালবার্নির ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৩ রানের ইনিংস। তিনি ফেরার পর মাত্র চার বল খেলে শূন্য রানেই সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান চারে নামে মাহমুদুল হাসান জয়।
দারুণ ব্যাটিং করতে শাই হোপও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৫৪ রানে ফেরার আগে খুলনা অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান।
এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা ইয়াসির রাব্বির ব্যাটে এগোতে থাকে খুলনা। যদিও শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস খুলনাকে জয় এনে দিতে পারেনি। ৩৫ বলে ফিফটি করা ইয়াসির শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৩৮ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থেমেছে খুলনার ইনিংস। ৩৭ রানের ব্যবধানে হেরে আসর থেকে সবার আগে বিদায় নিলো দলটি।