মেহেদী হাসান মিরাজের ঝড়ো পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে বড় সংগ্রহের মঞ্চ প্রস্তুত করাই ছিল। মাঝে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আর শেষের দিকে অন্যরা তো মিরাজের প্রস্তুত করা মঞ্চে দাপট দেখাতে ব্যর্থ। শেষ ছয় ওভারে রংপুরের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ৫২ রান। ফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৪৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করা আন্দ্রে ফ্লেচার ফিরে যান ১৬ বলে ১২ রান করে। তবে অন্যপ্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বরিশালের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪৬ রান।
আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ের পর আজ তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুরু থেকেই আগ্রাসী রিয়াদ ঝড়ের আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ১১৫ রানে ফেরার আগে রিয়াদের নামের পাশে যোগ হয়েছে ২১ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস।
ততক্ষণে অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন আরেক ওপেনার মিরাজ। ১২তম ওভারের প্রথম বলেই রংপুরের স্পিনার শেখ মেহেদীকে চার মেরে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন মিরাজ।
দলীয় ১২৬ রানে রংপুরের শ্রীলঙ্কান পেসার দাশুন শানাকার শিকার হয়ে ফেরেন মিরাজ। ফেরার আগে ৪৮ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
এরপর আসতে আসতে রানের গতি কমে আসে বরিশালের। করিম জান্নাত ও ভানুকা রাজাপাকশে দ্রুত তুলতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন। এরপর ১৮তম ওভারে এক ছক্কা ও এক চার মেরে রানের গতি কিছুটা বাড়ান করিম।
ডোয়াইন ব্রাভোর করা ১৯তম ওভারে তো রীতিমতো বোকা বনে গিয়েছেন করিম। কিছুতেই যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ব্রাভোর বল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বরিশাল।