চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বের সোমবারের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটাররা দুর্দান্ত ছিলেন। যারা উইকেটে এসেছেন সবাই রান পেয়েছেন। তবে বোলারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়েও জয় পাওয়া হয়নি খুলনার।
৫ উইকেটের হারে প্লে-অফের দৌড়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে গেছে খুলনা। অন্যদিকে টানা পাঁচ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রংপুরকে ছুঁয়ে ফেলেছে বরিশাল। তবে নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে দুইয়েই আছে তামিম ইকবালের দল বরিশাল।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ১ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
শুরুতে ঝড় তোলেন খুলনার নাঈম শেখ। বাকি ব্যাটারদের ছোট ছোট অবদানের সঙ্গে শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ে ভালো সংগ্রহ পায় দল।
ওই রান তাড়ায় নেমে ডেভিড মালানের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পেয়েছে বরিশাল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন খুলনার ওপেনার নাঈম। ২৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ বলে ২৯ রানে এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হন। ওই বলটি মিরাজের পায়ে লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। মিরাজ নিজে পায়ে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন।
খুলনার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে। ২ চার ও সমান ছক্কায় ২৭ বলে ৩২ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হয়ে যান। শেষদিকে নেমে ঝড় তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে এবাদত পান এক উইকেট।
রান তাড়ায় এদিনও ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ হন বরিশালের তাওহীদ হৃদয়। ৭ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ২৫ বলে ২৭ রান করে সালমান এরশাদের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেন দাভিদ মালান।
নিজেদের নাগালে রান এনে ৩৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করে আউট হন মালান। মাঝে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ বলে ২৪ ও মুশফিকুর রহিম ১৭ বলে ২৪ রান করেন। ৬ বলে ১৮ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ফাহিম আশরাফ।