দুই অর্ধে যেন দেখা মিললো দুই দলের। প্রথমার্ধে স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থাকলো নিজেদের ছায়া হয়ে, রবার্ট লেভানডোভস্কির গোলে লিড পেলো বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেড নিজেদের ফিরে পেলো আর বার্সেলোনা যেন খেলাই ভুলে গেলো। প্রথমে গোল হজম করেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল দিলো ম্যানইউ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুই অর্ধে দুই দলের দাপটের ম্যাচে ইউরোপা লিগের নকআউট রাউন্ডের প্লে-অফের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৪ গোলের ব্যবধানে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে জাভি হার্নান্দেজের দলের।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ব্রুনো ফের্নান্দেসের গোলার মতো শটের সামনে বাঁধা হয়ে দাড়ান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠে ম্যাচ। ম্যাচের ১৮তম লিড পায় বার্সেলোনা। স্পট কিক থেকে লেভানডোভস্কির শট ঝাঁপিয়ে ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া হাত লাগালেও বল জড়ায় জালে।
প্রথমার্ধে লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া বার্সেলোনা বিরতি থেকে ফেরা অচেনা দল হয়ে। এই সুযোগে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরা স্বাগতিকরা। ব্রুনো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে পেস পেয়ে দুর্দান্ত শটে দলকে সমতায় ফেরান ফ্রেড।
গোল হজম করার পর বার্সেলোনা যেন নিজেদের আর খুজেই পেলো না। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি।
তবে স্রোতের বিপরীতে ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত জাভির দল। কিন্তু জুল কুন্দের হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গিয়া।
এর ৯ মিনিট পর লিড পায় ইউনাইটেড। দুই দফায় আলেহান্দ্রো গারনাচো ও ফ্রেডের শট ব্লকড হয়েছিল বার্সেলোনার রক্ষণে। তবে ফিরতি বলে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন আন্তোনিও।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে ধার বাড়ায় বার্সা। কিন্তু তাদের প্রতিটি আক্রমণই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউনাইটেডের রক্ষণে। শেষ পর্যন্ত বাকি সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি বার্সা। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে পরের রাউন্ডে উঠে গেছে ইউনাইটেড।