মৌসুমের শুরুটা ভালো করতে পারেনি লা লিগা চ্যাম্পিয়ন এবং লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। রোবাবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুই লিগের দুই শিরোপা জয়ীরা নিজেদের লিগে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামে। ওসাসুনার বিপক্ষে রর্বেত লেভানদোভস্কির করা শেষ মূহুর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। অন্য ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে পিএসজি ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিওঁকে।
গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ম্যাচে পিএসজি প্রথমার্ধেই চার গোল দেয় লিওঁর জালে। পিএসজির হয়ে প্রথম গোলটি করেন এমবাপ্পে। ম্যাচের ৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। ২০ মিনিটে ওসমান দেম্বেলের সঙ্গে ওয়ান-টু করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আশরাফ হাকিমি। আর ৩৮ মিনিটে আরও এক গোল করেন মার্কো আসেনসিও। এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। তার গোলেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতি থেকে ফিরে ৭৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় লিওঁ। এই সময় স্পট কিক থেকে গোল করেন কোরেন্টিন টোলিসো। তার গোলের পর দুই দলের আর কোনো গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লুইস এনরিকের শিষ্যরা। এই জয়ে চার ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে পিএসজি।
অন্যদিকে ওসাসুনার ঘরের মাঠে শুরু থেকেই বার্সেলোনা অধিপত্য বজায় রেখে খেলতে থাকে। এদিন বার্সার হয়ে ডেড লক ভাঙেন জুলেস কুন্দে। প্রথমার্রধের যোগ করা সময়ে কুন্দের গোলে ১-০ তে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কাতালান ক্লাবটা। পিছিয়ে পড়া ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ওসাসুনার ফুটবলার এজেকিয়েল আভিলা ৭৬ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। এই সময় মনে হচ্ছিল আরও একটি ড্রয়ের পথে হাটছে জার্ভি হার্নান্দেজের দল।
কিন্তু লেভানদোভস্কিকে ৮৪ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে আলেজান্দ্রো ক্যাটেনা ফাউল করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন। এই ফাউলের কারণে ক্যাটেনা লাল কার্ড দেখন এবং লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা পায় পেনাল্টি। ৮৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে জয়সূচক গোলটি করতে কোনো ভুল করেননি লেভানদোভস্কি। এই গোলেই শেষ হয় খেলা। বার্সেলোনাও ওসাসুনার মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে আসতে পারে। এদিন বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয় ধারে খেলতে আসা জোয়াও কানসেলো ও জোয়াও ফেলিক্সের। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে কাতালানরা।