• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পিছিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বার্সেলোনা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম
পিছিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বার্সেলোনা
সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। ছবি : সংগৃহীত

ক্যাম্প ন্যুর সংস্কার কাজ চলমান থাকায় নতুন ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ সেল্টা ভিগোকে আতিথেয়তা দেয় বার্সেলোনা। এই ম্যাচটিতে জয় তুলে নিতে বার্সেলোনার লেগেছে মাত্র ৯ মিনিট।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানি স্টেডিয়ামে সেল্টা ভিগোকে আতিথেয়তা দেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। ম্যাচটিতে কাতালানরা ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বার্সেলোনার হয়ে জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানদোভস্কি, একটি গোল করেন জোয়াও কানসালো। সেল্টার হয়ে গোল দুটি করেন জর্গেন লারসেন ও আনাস্তাসিওস ডভিকাস।

বার্সেলোনার মাঠে সেল্টা এদিন শুরু থেকেই চোখ রাঙাচ্ছিল। ১৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে ইয়াগো আসপাস দারুণ ফ্লিক করেছিলেন। কিন্তু কর্নারের বিনিময়ে বার্সাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক টার স্টেগান। তবে এর মিনিট দুই পরই রক্ষণভাগের দোষে গোল খায় বার্সা। বাঁ প্রান্তে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনার রক্ষণভাগ। বল পেয়ে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্টে বল পাঠান লারসন।

২৪ মিনিটের মাথায় গোল শোধের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু বল আকাশে মারেন জোয়াও ফেলিক্স। দুই মিনিট পর সেল্টার লুকা ডে লা তরের শট ব্লক করে দলকে বাঁচান ওরিওল। ৪০ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে দারুণ হেড নিয়েছিলেন ডে লা তরে। কিন্তু তার হেড ফিরিয়ে দেন টার স্টেগান। ফিরতি বলেও সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারেননি তার সতীর্থরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে বার্সার ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোর দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন সেল্টার গোলরক্ষক। ৬৩ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন ফেরান তোরেস। বার্সেলোনার এই উইঙ্গার সতীর্থের পাস পেয়ে ডি বক্সে ঢুকে একা গোলরক্ষকে পেয়েও বাইরে মারেন। দুই মিনিট পড়ে তোরেসকে গোলবঞ্চিত করে সেল্টার গোলরক্ষক।

৭০ মিনিটের মাথায় আরও একবার দলকে রক্ষা করেন টার স্টেগান। সেল্টার জোনাথন বাম্বার দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।  তবে ছয়  মিনিট পরে  দৌভিকাসকে আর রুখে দিতে পারেননি বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক।  মাঝমাঠের ডানদিক থেকে সতীর্থের দেওয়া আড়াআড়ি পাস ধরে বাঁ প্রান্ত ধরে ডিবক্সে ঢুকে পড়েন দৌভিকাস। তারপর কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন টার স্টেগানকে।

৮১ মিনিটে লেভানদোভস্কির গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। ফেলিক্স ফ্লিক করে সেল্টার দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে বল ডি বক্সে বাড়ান। সে বল আলতো টোকা দিয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান লেভানদোভস্কি।

তিন মিনিট পরেই ফের গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান লেভা। বক্সের ডানদিক থেকে জটলায় বল বাড়িয়েছিলেন জোয়াও কান্সেলো। ধারে যোগ দেওয়া এই ফুলব্যাকের মাইনাসে জোরাল শটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন পোলিশ স্ট্রাইকার।

এর ঠিক দুই মিনিট পরে নিজেই গোল করেন কান্সেলো। মাঝমাঠ থেক সতীর্থের লং পাসে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত টোকায় গোল করেন এই ফুলব্যাক। বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন তিনি।

আট মিনিটের ঝড়েই সেল্টাকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে জাভির দল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে জিরোনা। এক ম্যাচ কম খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ।

Link copied!