গত দুই মৌসুমটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সুখকর ছিল নো বার্সেলোনার। গ্রুপ পর্ব থেকেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। এবারও কি তেন কিছু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল সবার মনে। তবে, এবার আর কোনো ভুল করেননি তারা। সকল জল্পনা-কল্পনাকে পিছনে ফেলে শেষ ষোলোর টিকিট পেল কাতালানরা। পোর্তোকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে পর্তোর বিপক্ষে দাপট দেখায় বার্সা। পুরো ম্যাচে ৫৫ শতাংশ বল দখলের পাশাপাশি ২১টি শট নিয়ে থাকেন জাভি হার্নান্দেজের দল। যার ৭টি ছিল অন টার্গেট। আর অন্যদিকে, পর্তো ১৩ শটের ৫টি ছিল অন টার্গেটে। পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখানো বার্সেলোনা ম্যাচের ৫ মিনিটের সময় গোলের প্রথম সুযোগটি পান। জোয়াও ফিলিক্স পারেননি স্কোর করতে। এরপর সুযোগ আসে রাফিনহার কাছেও। তবে, তাকে হতাশ করে পর্তোর গোল রক্ষক।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে বার্সাকে ধাক্কা দেয় পর্তো। গোল করে বসলেও অফ-সাউডে তা বাতিল হয়ে যায়। প্রাণ ফিরে পায় কাতালানরা। তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী ছিল না তাদের জন্য। ম্যাচের ৩০ মিনিটে কাতালানদের হতাশায় ডোবান পর্তুগিজ ক্লাবটি। পর্তোর ফুটবলার তেরেমির শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টিয়ে চলে যায় বক্সে থাকা গালেনোর কাছে। তার শট ইনাকি পেনা আটকে দিলেও ফিরতি বলে গোল করেন আকুইনো।
অবশ্য ২মিনিট পরই ম্যাচে সমতা আনে বার্সা। পেদ্রির পাস বল পেয়ে যান কানসেলো। জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। তাতে প্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে বাসতে পারত বার্সেলোনা। কিন্তু ফেলিক্সের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও, ক্রসবারের বাঁধা পায়।
সেই ফেলিক্সই ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বার্সাকে লিড এনে দেন। কানসেলোকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নেন তিনি। স্বদেশির কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে নিখুঁত শটে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
৭৯তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নিতে পারত বার্সেলোনা। থ্রু পাস ধরে অনেকটা এগিয়ে রাফিনিয়ার নেওয়া শট আটকান কস্তা, তরেসের ফিরতি শট যায় বাইরে। এরপর আর কোন অঘটন না ঘটায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।