নারী বিশ্বকাপে স্পেনের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন আইতানো বনমাতি। জিতেছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার গোল্ডেন বল। এবার নিজের নামের পাশে যুক্ত হলো ব্যালন ডি’অর জেতার খেতাব। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারটি জিতলেন স্পেন ও বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয় কনিষ্ঠ নারী ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এর আগে সবচেয়ে কম বয়সে এই পুরস্কারটি জিতেছিলেন নরওয়ের ফুটবলার অ্যাডা হেগারবার্গ। হেগারবার্গের বয়স যখন ২৩ বছর ১৮৬ দিন তখন এই পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। আর বনমাতি পেলেন যখন তার বয়স ২৫ বছর ২৮৫ দিন।
বার্সেলোনার হয়েও গত মৌসুম দারুণ কাটে বনমাতির। লিগ শিরোপার পাশাপাশি জিতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপারকাপ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে গোল করেন ১৯টি, সতীর্থদের দিয়ে গোল করান ২১টি।
ব্যালন ডি’অর জয়ের পর বনমাতি বলেন, “ব্যালন ডি’অর জেতায় আমি গর্বিত। ফুটবল দলগত খেলা। আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফের সকলেই এই ট্রফি জয়ে অবদান রয়েছে। রোলমডেল হিসাবে মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। আমদের এথলিটদের দায়িত্বটা আরও বেশি থাকে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয় আমাদের। আরও একটা ভালো, শান্তিপূর্ণ, ঐক্যবদ্ধ বিশ্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। মনোনয়ন পাওয়া বাকি ফুটবলারদেরও অভিনন্দন।”
নারীদের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন চেলসি তারকা স্যাম কের। বার্সেলোনা তারকা সালমা পারালুয়েলো, ফ্রিডললিনা রোলফো যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ হয়েছেন।
ব্যালন ডি অর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয় গত বছর। আগে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে পুরো বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হলেও এখন বিবেচনায় ধরা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের একটি মৌসুমকে (আগস্ট থেকে জুলাই)।
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এরপর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডি’অর দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণ করা হয় সাংবাদিকদের ভোটে।