ভারতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক রূপকথার জন্ম দিতে পারত আফগানিস্তান। কিন্তু সেদিন আফগানিস্তানের সেই রূপকথা অঙ্কুরে বিনষ্ট হয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কারণে। সেদিন ম্যাক্সওয়েল খেলেছিলেন ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংসটি। কিংসটাউনে আজ (২৩ জুন) এমনই এক মহাগুরুত্বপূর্ণ আবারও সেই ম্যাক্সওয়েল হয়ে উঠেছিলেন দেয়াল।
শেষ পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারায় আফগানরা। ২১ রানের জয়ে সেই গল্পের আরেক উপাখ্যান লিখলেন গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, রহমানউল্লাহ গুরবাজরা। আফগানিস্তানের এই জয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন টিকে রয়েছে দলটির। একই সঙ্গে বাংলাদেশেরও সেমিফাইনালের আশা কিছুটা হলেও বেড়েছে।
আজও (২৩ জুন) তার ব্যাটে চড়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪১ বলে ৫৯ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের কক্ষপথেই রেখেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তাকে ফিরিয়েছিলেন গুলবাদিন নাইব। আফগানিস্তানের জয় তখন থেকেই হাতের মুঠোয়। ইনিংসের ১৫তম ওভারের পর থেকেই একটি করে উইকেটের পতন হয়েছে। আসেনি কোনো বাউন্ডারি। হাতের বাইরে থাকা ম্যাচটা আফগানিস্তান নিজেদের কাছে নিয়ে এসেছে সেখানেই।
সুপার এইটের গ্রুপ-১ এর চার দলের মধ্যে ভারতের জয় দুই ম্যাচের দুটিতে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ইতোমধ্যে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে টিম ইন্ডিয়ার। আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া জিতেছে একটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে না জিতলেও রয়েছে শেষ চারে খেলার সুযোগ।
সেই ক্ষেত্রে ভারত তাদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলে আর বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সমীকরণ সহজ হয়ে যাবে। তাতে এই তিন দলের পয়েন্ট হবে দুই করে। এই ক্ষেত্রে রান রেটে এগিয়ে থাকা দল খেলবে শেষ চারে।
রোববার (২৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করেছে রশিদ খানের দল। ওপেনার গুরবাজ ৬০ আর ইব্রাহিম ৫১ রান করে আউট হন। টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ওভার প্রতি ৭.৪৫ রান প্রয়োজন ছিল অজিদের।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। বোলিং সহায়ক উইকেটকে ভালোভাবেই কাজে লাগায় আফগানিস্তানের বোলাররা। পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। মাঝে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হলেও, শেষ দিকে আরেকবার নিজেদের বোলিং কারিশমা দেখালেন এশিয়ান দেশটির বোলাররা।