• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
এশিয়ান গেমস ক্রিকেট

মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ‘কষ্টের জয়ে’ সেমিতে বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩, ০৩:০৫ পিএম
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ‘কষ্টের জয়ে’ সেমিতে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

চলমান এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্বল মালয়েশিয়ার সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের পর হারতে হারতে জয় পেল বাংলাদেশ দল। সেমিফাইনালে ওঠার ম্যাচে মাত্র ১১৬ রান করে পরাজয়ের মুখেই পড়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শেষ পর্যন্ত শেষ বলের মীমাংসা হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ২ রানে।সে সঙ্গে সেমিফাইনালেও নাম লিখে নিলো সাইফ হাসানের দল।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় রানআউট হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। বাংলাদেশ স্কোর তখন শূন্য। এরপর স্কোর বোর্ডে ১ রান যোগ করতেই আরও এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিজয় উন্নির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার নামের পাশে স্কোর শূন্য। ৩ রানের মাথায় হারায় আরও এক উইকেট। এবার ১ রান করা জাকির হাসান আউট হন পবনদীপ সিংয়ের বলে। অর্থাৎ ৩ রানে নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট।

সেখান থেকে অধিনায়ক সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন দলীয় সংগ্রহকে ৪১ রান পর্যন্ত টেনে নেন। এই রানে আফিফ পবনদীপকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন জুবাইদি জুলফিকারের হাতে। তিনি ১৪ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করে যান।

এরপর সাইফ এগোতে থাকেন শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে। ৮৬ রানের মাথায় শাহাদাত ফেরেন আনোয়ার রহমানের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে। ৩ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।

সেখান থেকে সাইফ ও জাকের আলী অনিক ইনিংস শেষ করে আসেন। ৫২ বলে ১টি চার ও ৩ ছক্কায় সাইফের করা ৫০ ও অনিকের ২ চারে করা ১৪ রানের ভর করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১১৬ রান সংগ্রহ করতে পারে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। জুবাইদি জুল্কফিলেকে ফেরান রিপন মণ্ডল। ১৮ রানে মোহাম্মদ আমিরকে শূন্য রানে আউত করেন আফিফ। পরের বলে অধিনায়ক আহমদ ফাইজকেও ফিরিয়ে দিলে ম্যাচে আশার আলো দেখতে পায় বাংলাদেশ।

এরপর ছোট একটা জুটি টাইগারদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছিল। কিন্তু ৩৮ রানের মাথায় সৈয়দ আজিজকে ফিরিয়ে দেন রাকিবুল হাসান। ৩১ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২০ রান করেন এই ওপেনার।

পঞ্চম উইকেটে বিরানদীপ সিং ও বিজয় উন্নি ৩৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ থেকে সাইফের দলকে প্রায় ছিটকেই দিচ্ছিল। কিন্তু ফের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির আফিফ। ফের জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৪ রান করা উন্নিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরের বলেই ফেরান শারভিন মুনিয়ান্দিকে।

তবে উইকেটে থাকা বিরানদীপ বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে দারুণ লড়ছিলেন। আইনুল হাফিজসকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ে জয়টা হাতের নাগালেই নিয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় ১১২ রানে ১৪ রান করা হাফিজসকে রিশাদ হোসেন ফিরিয়ে দেন তখন মালয়েশিয়ার জয়ের জন্য ৭ বলে দরকার ৫ রান।

আফিফ হোসেনকেও বাংলাদেশের এই জয়ের নায়ক বলা যায়। ২০তম ওভারে বল হাতে নিয়ে দারুণ বোলিং করেন আফিফ। প্রথম তিন বলে কোন রানই নিতে দেননি বিরানদীপকে। চতুর্থ বলে বাধ্য হয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে জয়ের হাতে ধরা পড়েন বিরানদীপ। ৩৯ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।  তারপরও ছিল অনিশ্চয়তা। শেষ দুই বলে একটা চার মারতে পারলেও হার এড়াতে পারত মালয়েশিয়া। কিন্তু মাত্র ২ রান নিতে পারেন আনোয়ার ও ইদ্রুস.২ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে আফিফ হোসেন ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। রিপন মণ্ডলও মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এটি করে উইকেট নেন রিশাদ ও রাকিবুল।

Link copied!