টি-টেয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজটা হার দিয়ে শুরু করল টাইগ্রেসরা। প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুরে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ৮২ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায়। ম্যাচের বাকি ছিল তখনও ১৫৫ বল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নিধা দার।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশ ব্যাটিংয় পাওয়ার প্লেতে হারায় তিন উইকেট। আর রান তোলে মাত্র ১৫। দলীয় ১৪ রানের সময় বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ৬ রান করা শামীমা সুলতানাকে ফেরান সাদিয়া ইকবাল। পরের বলেই সোবহানা মোস্তারি ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। হ্যাটট্রিকের আশা জাগানো সাদিয়া ইকবাল। তবে ব্যর্থ হন তিন বলে তিন উইকেট নিতে। এরপর ১৪ বলে ২ রান যোগ করে টাইগ্রেসরা। এর মাঝে তারা হারান আরেক ওপেনার ফারজানা হকের উইকেট। ৮ রান করা ফারজানা সাদিয়া ইকবালের তৃতীয় শিকার।
এরপর নিগার সুলতানা জ্যোতিরা আরও ৫০ রান যোগ করতে হারায় চার উইকেট। ২ রান করা স্বর্ণা আক্তারের উইকেটটি পান সাদিয়া সুলতানা। এরপর ব্যক্তিগত ১৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তার উইকেটটি নেন নিধা দার। নিধা দারের দ্বিতীয় শিকার ১৮ রান করা ফাহিমা খাতুন। আর ১৪ রান করা রিতু মনিকে ফেরান উম্মে হানি।
পরবর্তীতে বড় কোনো জুটি আর এগোয়নি বাংলাদেশ দলের হয়ে। দ্রুত বাকি তিন উইকেট পড়ে গেলে ৮১ রানেই অলআউট হয়ে যায় জ্যোতির দল। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল এছাড়া ৩ উইকেট নেন নিদা দার।
স্কোরবোর্ডে রানটা অল্প, তাও বল হাতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু জয়টা ছিনিয়ে আনতে পারেননি তারা। মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে ফিরে যান ওপেনার শাদাব শামস। এরপর সিদরা আমিনকে ফিরিয়ে আবারো পাক শিবিরে আঘাত হানে টাইগাররা। পরে দলীয় ২৭ রানে ফিরে যান আরেক ব্যাটার বিসমাহ মারুফ।
এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিধা দার। অন্যপ্রান্তে দ্রুত আরেক উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে সে চাপকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি পাকিস্তান অধিনায়ক নিধা। আলিয়া রিয়াজকে নিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করতে থাকতে তিনি। অবশ্য আলিয়া দলের জয় ১২ রান দূরে থাকা অবস্থায় বিদায় নেন। পরে বাকি কাজ সারেন নিধা, ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই অধিনায়ক। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছের নাহিদা আক্তার। এছাড়া ১টি উইকেট শিকার করেছেন ফাহিমা খাতুন।