অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ নারী দল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ নারী দল
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডে পা পড়েনি তাদের। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেললেও কখনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য সফর করেনি। সব অপেক্ষা শেষের বার্তা নিয়ে এসেছে আইসিসির নতুন ভবিষ্যৎ সফর সূচি (এফটিপি)। নারী এফটিপির নতুন চক্রে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফর আছে বাংলাদেশ দলের।

কদিন আগে আইসিসির সভায় চূড়ান্ত করা হয় ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত নারীদের ভবিষ্যৎ সফর সূচি। আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হয় সোমবার।

চার বছরের এই চক্রে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২৭টি ওয়ানডে ও ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এর বাইরে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টগুলো তো আছেই। পাশাপাশি অন্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতায়ও আরও খেলা আয়োজন করার সুযোগ থাকবে বরাবরের মতোই।

টেস্ট মর্যাদা পেলেও নতুন ভবিষ্যৎ সফর সূচিতেও কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। দেশের নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটই এখনও চালু করতে পারেনি বিসিবি।

বর্তমান চক্রে আর দুটি সিরিজ বাকি আছে বাংলাদেশের। এই মাসের শেষে দেশের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। রোববার এই সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বিসিবি।

এরপর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার, রিতু মনিরা। বিশ্ব আসরে আগে মুখোমুখি হলেও ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হবে এটি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি এই বছরই বাংলাদেশ খেলেছে দেশের মাঠে। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন তারা ২০২৬ সালের অক্টোবরে, প্রথমবার ইংল্যান্ড সফরে ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে।

এছাড়াও আগামী বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে আছে নিউজিল্যান্ড সফর, ২০২৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তান সফর। প্রতিটি সফরেই আছে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

এই চক্রে দেশের মাঠে আয়ারল্যান্ড ছাড়াও বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ড খেলবে শুধু তিনটি টি-টোয়েন্টি। অন্য সিরিজগুলোয় তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলিতেও সফর থাকছে সামনে। এতে অফুরান সম্ভাবনা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি থাকছে কিছুটা শঙ্কাও। এই চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য কতটা তৈরি বাংলাদেশ?

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আশার বার্তা খুব একটা নেই। কিছুদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়টি ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোয় খুব বাজে ছিল নিগার সুলতানার দলের পারফরম্যান্স।

Link copied!