ঠিক বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশের ২৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে রচিত হলো নতুন এক ইতিহাস। রাওয়ালপিন্ডিতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের আবরার আহমেদের বলে বাউন্ডারী হাঁকিয়ে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। শুধু এই ম্যাচই নয়, সেইসঙ্গে সিরিজ জয়ও হয়ে গেল বাংলাদেশের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় এসেছিল রাওয়ালপিন্ডিতেই ১০ উইকেটে। ফলে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিক পাকিস্তানকে।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে।
এর আগে স্রেফ একবারই বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছে তারা। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল তারা। ১৫ বছর পর ঐতিহাসিক সাফল্য এলো।
পঞ্চম দিনে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ হারায় জাকির হাসানের উইকেট। মীর হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া এই ব্যাটার। ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন জাকির।
নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ৫১ বলে ৫৪ রান করে খুররাম শেহজাদের পাতা ফাঁদে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর থেকে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মুমিনুল।
দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা। শান্ত অবশ্য ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার আগেই। ৮২ বলে ৩৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে। জয়ের সময় মাঠে থাকতে পারেননি মুমিনুলও। ৭১ বলে ৩৪ রান করে আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি।
বাংলাদেশের জয় এসেছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে। ৫১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ৪৩ বলে ২১ রানে সাকিব।
সাকিবের ব্যাট থেকে আসা চারেই জয় পায় বাংলাদেশ। নানামুখী চাপে থাকা দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা স্মরণীয় সিরিজ জয়ের শেষ ছবিতে থাকেন। তার বল বাউন্ডারি ছুতেই উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম।