প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমস ফুটবলে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তাদের গ্রুপে রয়েছে জাপান ও ভিয়েতনামের মতো শক্ত প্রতিপক্ষ। এছাড়া অপর দলটি নেপাল। মেয়েদের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ায় সবার ওপরে জাপান। পাশাপাশি গ্রুপে আছে ৩৪তম স্থানে থাকা ভিয়েতনাম ও ১০১ নম্বর র্যাঙ্কিংধারী নেপাল। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২ নম্বরে। জাপান ও ভিয়েতনামের সঙ্গে ভাল খেলা উপহার দিতে চায় বাংলাদেশ দল। সোমবার চীনের হাংজুর উদ্দেশে রওনা হবেন সাবিনা-সানজিদারা। দেশ ছাড়ার আগে কথা সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন কোচ ও অধিনায়ক।
২২ সেপ্টেম্বর জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়ান গেমস শুরু করবেন সাবিনারা। শক্তিতে দু`দলের অনেক পার্থক্য থাকলেও জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারা বিশাল ব্যাপার বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এর কাছে। সাবিনা খাতুন বলেন, “ জাপান একবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দল। এবারও বিশ্বকাপ খেলেছে। তাদের সঙ্গে আমরা জিতব এটা আশা করি সমীচীন হবে না। তবে অবশ্যই আমরা লড়াইয়ের চেষ্টা করব।”
কোচ সাইফুল বারী টিটু জাপান সম্পর্কে বলেন, “মহিলা ফুটবলে সিনিয়র দলই খেলে। তাই বিশ্বকাপ খেলা দলটিই অংশগ্রহণ করার কথা গেমসে। তারা বল হারালে পাচ সেকেন্ডের মধ্যেই কেড়ে নিতে চাইবে আমরা এটা ভেবেই অনুশীলন করেছি।”
নারী বিশ্বকাপ খেলা আরেকটি দল ভিয়েতনামও বাংলাদেশের গ্রুপে। তাদের বিপক্ষে সাধ্যমতো লড়াই করতে চায় বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের অধিনায়ক নেপালের ম্যাচকেই টার্গেট করছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “আমরা অন্তত নেপালকে হারাতে চাই। জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলার পর নেপালের সঙ্গে খেলব। তাই একটা ভালো অভিজ্ঞতা থাকবে। ’ নেপালের মাটিতে নেপালকে হারিয়ে সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।”
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমে ছিল না। এরপর সাবিনারা খেলার সুযোগ পান। গেমসে নারী দল যেন আগামীতেও থাকে সেই চেষ্টা রয়েছে সাবিনাদের,‘আমরা অবশ্যই একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই। যাতে সামনের গেমসেও খেলার সুযোগ পাই।’