সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। এরপর জবাব দিতে নেমে ১৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট। লঙ্কান বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডো এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন ওপেনার জাকির হাসান (৯) আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে (৫)।
এর আগে গতিঝড়ে শুরুটা করেছিলেন খালেদ আহমেদ। শেষটা হলো অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরির পরও খালেদ-নাহিদদের তোপে ২৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস।
২১ রানে লঙ্কানদের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এর মধ্যে ৩ উইকেট অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খালেদ আহমেদের তোপে প্রথম সেশনেই ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট শিকার করেন খালেদ। ওভারের শেষ বলে লঙ্কান ওপেনার নিশান মাদুশকাকে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ বানান খালেদ।
ডানহাতি এই পেসারকে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটে বলে ভালো মতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি ওপেনার নিশান মাদুশকা (৯ বলে ২)। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে।
এরপর ১২তম ওভারে জোড়া শিকার করেছেন খালেদ। ওভারের (দ্বিতীয় বল) শর্ট ও বাউন্স বলকে কাট করতে গিয়েছিলেন লঙ্কান টপঅর্ডার কুশল মেন্ডিস। কিন্তু ডানহাতি এই মনে হয় পুল করতে কিছুটা দেরি করে ফেলেছেন। ফলে বল যাচ্ছিলো গালি অঞ্চলের দিকে। সেখান থেকে মেন্ডিসকে তালুবন্দি করেন জাকির হাসান। ২৬ বলে ১৬ রান করে ফেরত যান মেন্ডিস।
ওই ওভারের শেষ বলে থিতু হয়ে পিচে টিকে থাকার চেষ্টায় থাকা দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করে দেন খালেদ। ৩৭ বলে ১৭ রান করেন এই বাঁহাতি লঙ্কান ব্যাটার।
খালেদের পরের ওভারেই রানআউট হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। খালেদকে অফসাইডে ফেলে রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দিনেশ চান্দিমাল। সেখানে থাকা ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ থ্রো করে স্ট্রাইকের দিকে যাওয়া ম্যাথিউসের স্টাম্প সরাসরি ভেঙে দেন।
৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের বড় জুটি। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পিচে আঠার মতো লেগে থেকে রান করেই যাচ্ছিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটার। ষষ্ঠ উইকেটে ২০২ রানের জুটি করে বাংলাদেশকেই ব্যাকফুটে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা।
অবশেষে লঙ্কানদের সেই জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা। তার বাউন্সি বল ঠেকাতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ হন কামিন্দু মেন্ডিস।
আউট হওয়ার আগেই মেন্ডিস হাঁকিয়ে ফেলেন সেঞ্চুরি। ১২৭ বলে ১০২ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। মেন্ডিসের আউটের পর সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন ধনঞ্জয়া। এরপর নাহিদ তুলে নিয়েছেন তার উইকেটও। ১৩১ বলে ধনঞ্জয়াও করেন ১০২ রান।
এরপর লেজটা ছেঁটে দিতে আর বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ৬৮ ওভারে ২৮০ রানেই থামে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস।
খালেদ আহমেদ ৭২ আর নাহিদ রানা ৮৭ রান খরচায় নেন ৩টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট তাইজুল ইসলাম আর শরিফুল ইসলামের।