এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সোমবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে। ক্যাম্পটা অনেকটাই শুরু হয়েছে তারকাবিহীন। কারণে ইনজুরির কারনে নেই তামিম ইকবাল, আর দলের বেশিরভাগ তারকা খেলোয়াড়রা আছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে স্কিল অনুশীলন। এর আগে আসছেন না কোচিং স্টাফের সদস্যরাও।
চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারকেই ডাকা হয়েছে ক্যাম্পের শুরুতে। সোমবার প্রথমদিনে মেডিকেল পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ ছিল সেটি। এদিন উপস্থিত ছিল ২০ জন।
ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহিরয়ার নাফিস ক্যাম্প নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের চুক্তিবদ্ধ সব খেলোয়াড় এবং সম্প্রতি যারা জাতীয় দলের হয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছে; তাদের সবাইকেই আসতে বলা হয়েছে। আজকের মূলত যে কাজটা, বেসিক মেডিকেল পরীক্ষা হবে। রক্ত, চোখ পরীক্ষা ও ইসিজি। মেডিকেল টেস্টগুলো আজকে করা হচ্ছে। আগামীকাল ও পরশু গ্রুপ করে করে হাড় ও মাসেলের কী অবস্থা এই পরীক্ষাগুলো করা হবে। ’
তিনি আরোও বলেন,‘স্বাভাবিকভাবে এই পরীক্ষাগুলো আমরা বছরে একবার করার চেষ্টা করি। স্বাভাবিকভাবে যখন হাই পারফফরম্যান্সের ক্যাম্প শুরু হয়, তখন তারা করে। জাতীয় দলের ক্যাম্প যখন শুরু হয়, তখন তারা করে। টাইগার্সের ক্যাম্পে তারা করে। এবার সবগুলো একসঙ্গে করা হচ্ছে। ’
আগস্টের শেষদিকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে বসবে এশিয়া কাপের এবারের আসর। এরপর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে অক্টোবরে। এই দুই টুর্নামেন্ট ঘিরেই বাংলাদেশের আছে বড় স্বপ্ন। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্যই কি এবার বাড়তি সতর্কতা?
নাফিস বলেন, ‘বাড়তি সতর্কতা না। এটা রেগুলার প্রসিডিউর। এবার দৃশ্যমান হচ্ছে কারণ এগুলো সব একসঙ্গে করা হচ্ছে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও এগুলো নিয়মিত হয়। মেডিকেল বিভাগের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, বছরে একবার হলে ভালো; দু বছরে হলেও সমস্যা নেই। ’
