ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শংকায় পড়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে সর্বশেষ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা। একই বছর তিন ম্যাচের সিরিজে ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে হারলেও একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় সেটাকে হোয়াইটওয়াশ বলা যায় না।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দুইটায়। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে আফগানদের প্রধান কোচ জনাথন ট্রট জানিয়েছিলেন ৩-০ তেই সিরিজ জিততে চান তারা। একদিন পর অবশ্য দলটির পেস বোলিং কোচ হামিদ হাসানও জানালেন সেই একই কথা। তবে বাংলাদেশ থেকে নিজেদের রেখেছেন এক ধাপ ওপরে।
প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল না থাকায় দায়িত্ব পালন করা লিটন দাস দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের চিত্র বুঝতে পারেননি। তার চেয়ে বড় ব্যাপার তামিম ইস্যুতে খানিকটা হলেও বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশ।
যদিও, মাঠের খেলায় আবেগের চেয়ে পেশাদারত্বের স্থানটা বেশি। প্রতিটি ম্যাচ মানে নতুন করে শুরু করা। এই বাংলাদেশ দলই চলতি বছর রঙিন পোশাকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে। তাই আফগানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ দলকে বিচার করতে নারাজ বোলিং কোচ নিক পোথাস।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং করার সময় চোট পাওয়া পেসার এবাদত হোসেন বাদ পড়ছেন। তার বদলে একাদশে তাসকিন আহমেদ কিংবা বাড়তি এক স্পিনার খেলাতে পারে স্বাগতিকরা।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের আগেও শিষ্যদের ওপর আস্থা রাখছেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস, ‘দুই ম্যাচ দিয়ে দলটাকে বিচার করার আগে তাদের আগের সাফল্যগুলোও দেখতে হবে। এই দলটাই ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছে। তাই, দুই ম্যাচ দিয়ে বিচার করার আগে আমাদের উচিত লম্বা সময় ধরে তারা কেমন করছে সেটি দেখা।’