• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইরিশদের ২৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম
আইরিশদের ২৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমেছে আজ সোমবার (১৪ মে)। বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি। অন্যদিকে আইরিশদের সামনে সুযোগ সিরিজ ড্র করার। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে টস জিতে বোলিং নিয়েছে আয়ারল্যান্ড।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন। সাকিব আল হাসান চোটের কারণে বাইরে। এছাড়া, শরিফুল ইসলাম এবং তাইজুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন রনি তালুকদার, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং মোস্তাফিজুর রহমান। রনি ও মৃত্যুঞ্জয়ের এই ম্যাচের মাধ্যমে ওয়ানডে সংস্করণে অভিষেক হলো। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ড দলে এক পরিবর্তন। গ্রাহাম হিউমের পরিবর্তে ক্রেইগ ইয়াং একাদশে ঢুকেছেন।

তবে অভিষেক ম্যাচ রাঙাতে পারলেন না রনি। দলীয় মাত্র ১৮ রানেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার জুটি ভাঙে। রনি ১৪ বল মোকাবেলায় মাত্র ৪ রান করে ফেরত যান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। গত ম্যাচে অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত এ ম্যাচে বিদায় হন ৩৫ রানে। দলীয় ৬৭ রানে ভাঙে এ জুটি। এরপর অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। এই জুটি দলের রান শতরান পার করান।

শেষ ৯ ইনিংসে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে ফিফটি আসেনি। নিন্দুকের সমালোচনা জুটেছে তার। অনেকেই তো বলেই বসেন বাংলাদেশে তামিমের অবদান কেবল অধিনায়কত্বে।

অবশেষ ৯ ইনিংস পর তামিমের ব্যাট পেয়েছে ফিফটির দেখা। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৬১ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তামিম। ওয়ানডে সংস্করণে এটা তার ৫৬তম ফিফটি। তবে ফিফটি করার পর এই ওপেনার বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ৮২ বলে ৬৯ রানে জর্জ ডকরেলের বলে উইল ইয়ংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। 

তামিম ইকবালের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। দলের উইকেটরক্ষক ৪৫ রান করে বিদায় হন। ফিফটি থেকে এত কম রানের বিদায়ে আক্ষেপ রয়েই গেল। এলবিডব্লিউ‍‍`র বিপরীতে রিভিউ নিয়েও ফিরতে হয় মুশফিককে।

আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মুশফিক পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। ফিফটি রান করে অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি মুশফিক। ব্যক্তিগত ৬১ রানে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাকে। ৭০ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে এই রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয় ম্যাচেও ৩৬* রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

মুশফিকের পর মিরাজও তার পথ ধরেন। এই দুই ব্যাটারের জুটি ৭৫ রান করে। মিরাজ ৩৯ বলে ৩৭ রান করে বিদায় হন। শেষ চার ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে ৪৮.৫ ওভারেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। সবকয়টি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭৪ রান।

Link copied!