চেন্নাই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড পেয়েছিল ভারত। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে। তাই চেন্নাই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হতো ৫১৫ রান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ৪১৮ রান (এখন পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ড) করে জেতার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যা তারা ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিল। ফলে বাংলাদেশকে শুধু ওই বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেই হবে না, ৫১৫ রানের নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে। যা প্রায় অসম্ভব বিষয়।
শনিবার বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করে। এর আগে, ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান (ডিক্লেয়ার্ড) এবং বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রান করে।
বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে খুব দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকে। ওপেনার জাকির হাসান ৪৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করে আউট হন। অপর ওপেনার সাদমান ইসলাম ৬৮ বলে ৩৫ রান করে ফিরে যান। তিনি টেস্ট স্টাইলেই ব্যাট করেন। মুমিনুল ২৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিম অনেকটাই টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করে মাত্র ১১ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করে উইকেট বিলিয়ে দেন। ৬০ বলে ৫১ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। মাত্র ৫৫ বলে শান্ত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার সঙ্গে সাকিব আল হাসান ক্রিজে রয়েছেন ১৪ বলে ৫ রান করে। তিনিই পুরোপুরি টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন বলে মনে হচ্ছে। প্রথম ইনিংসে সাকিব সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছিলেন দলের পক্ষে।
ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩টি এবং যশপ্রীত বুমরাহ ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে, শনিবার তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার শুভমান গিল ও ঋষভ পান্ত তুলে নেন ব্যক্তিগত শতক। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ঋষভ পান্ত। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ১২৪ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
তবে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর মিরাজের বলে তার হাতেই ফিরতি ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ত। আউট হওয়ার আগে করেন ১২৮ বলে ১০৯ রান।
পান্তের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন শুভমান গিল। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরে যাওযার পর দ্বিতীয় ইনিংসেই সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
হাতে রয়েছে পুরো দুই দিন। বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৫৭ রান। কিন্তু বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অযথা দ্রুতগতিতে রান তুলতে গিয়ে ৪টি মূল্যবান উইকেট হারিয়ে বসে। সেটা না হলে উইকেটগুলো হাতে থাকলে বড় সময়টাতে একটা জয় তুলে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারতো সফরকারীরা। কিন্তু বাকি ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ কতদূর এগুতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।