আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে সিরিজ হারল বাংলার মেয়েরা। নির্ধারিত সময়ের ফলাফল গোলশূন্য ড্র হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে বাংলার মেয়েদের স্বপ্নভঙ্গ করে চ্যাম্পিয়ন নেপালের মেয়েরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করে বাংলাদেশ।
রোববার (১৬ জুলাই) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। মনিকার কাছ থেকে পাওয়া বল গোলে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হয় সাবিনা। অবশ্য বড় বাধা ছিলেন নেপাল গোল রক্ষক আনজিলা তুমবাপো সুবা। এর মিনিট দুয়েক পর গোলের সুযোগ পায় নেপাল। ষষ্ঠ মিনিটে সাবিত্রা ভাণ্ডারীর শট চলে যায় ক্রস বারের ওপর দিয়ে। ৩৬ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে নেপালের তিন ফুটবলারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মারিয়া মান্ডা। এক ডিফেন্ডারের ট্যাকলে বল হারান তিনি।
৪৩ ও ৪৪ মিনিটে বাংলাদেশের ভুলে নেপালের সামনে সুযোগ আসে স্কোর করার। সাবিত্রা ভাণ্ডারীর শট দুটি সহজেই তালুবন্দী করেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন পরিবর্তন আনা হয় বাংলাদেশের স্কোয়াডে। সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী, তহুরা খাতুনকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। তাদের পরিবর্তে মাঠে নামেন ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা ও মাতসুসিমা সুমাইয়া। তিন বদলি নিয়ে খেলার গতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশের আক্রমণে ধার বাড়ে। তবে গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না তারাও।
ধীরে ধীরে ম্যাচ যখন নিশ্চিত টাইব্রেকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নেপাল কোচ রাজ থাপা গোলরক্ষক পরিবর্তন করেন। অধিনায়ক আনজিলাকে উঠিয়ে অঞ্জনা রানা মাগারকে মাঠে নামান তিনি। তার সেই পরিবর্তনই কাজে দিল। বাংলাদেশের দুই-দুইটা শট ঠেকিয়ে স্পট লাইট নিজের করে নেন অঞ্জনা রানা মাগার। অবশ্য নেপালের হয়ে টাইব্রেকার মিস করা একমাত্র ফুটবলারও তিনি।
টাইব্রেকারে বাংলার হয়ে শিউলি আজিম ও মারিয়া মান্ডা গোল করতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশের হয়ে স্পটকিক থেকে স্কোর করেন সামসুন্নাহার ও মনিকা চাকমা। নেপালের হয়ে গোল করেন সাবিত্রা ভাণ্ডারী, হীরা কুমারী, দীপা সাই ও আনীতা।
দলের নিয়মিত কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের দায়িত্ব ছাড়ার পর এখনো নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল তা সুস্পষ্ট বোঝা গেল আবারও।