• ঢাকা
  • বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

শেষ ম্যাচেও হার, টানা চার বিশ্বকাপে জয়হীন বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০১:৫৬ এএম
শেষ ম্যাচেও হার, টানা চার বিশ্বকাপে জয়হীন বাংলাদেশ

এবারও হলো না, শেষ হলো না অপেক্ষা। টানা চতুর্থ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অধরা জয়ের দেখা পেলো না বাংলাদেশ। সেই যে ২০১৪ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল টাইগ্রেসরা, সেখানেই শেষ। ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০ এর পর এবারের বিশ্বকাপেও জয়ের দেখা পেলো না বাংলাদেশের নারীরা। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় হারে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে মাত্র ১১৩ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই রান ডিফেন্ড করতে নেমে হাস্যকর সব মিস ফিল্ডিং আর ছন্নছাড়া বোলিংয়ে লড়াইও করতে পারেনি টাইগ্রেসএরা। এ ম্যাচে প্রোটিয়া নারীদের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে জ্যোতির দল।

এদিন আগে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  ইনিংসের তৃতীয় ওভারে খালি হাতে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন মুর্শিদা খাতুন।

ভালো শুরু করলেও ইনিংসের ষষ্ট ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার শামিমা সুলতানা। দলীয় ২২ রানে ফেরার আগে ব্যক্তিগত ১৬ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের তোপের মুখে পাওয়ার প্লেতে টাইগ্রেসদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় মাত্র ২৩ রান।

পাওয়ার প্লে শেষেও কাটেনি রান খরা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি তো রান করতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন। অন্যপ্রান্তে সোবহানা অবশ্য চেষ্টা করেছেন রানের চাকা সচল রাখতে তবে তাতে ছিল না গতি।

ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় মাত্র ৪১ রান৷ ইনিংসের ১৩তম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৫ রানে ফেরার আগে দুই চারে ৩০ বলে ২৭ রান করেন সোবহানা।

শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে রানের গতি বাড়ানো অধিনায়ক জ্যোতি এরপর স্বর্ণাকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন। দলীয় ৮০ রানে স্বর্ণার বিদায়ে ভাঙে তাদের ২৫ রানের জুটি। ফেরার আগে ১১ রান করেন স্বর্ণা।

সঙ্গী হারানোর মাত্র চার রানের ব্যবধানে ফেরেন জ্যোতি। এ ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে দুই চারে ৩০ রানের ইনিংস।শেষদিকে নাহিদা আক্তারের ১১ বলে ১৫ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে নেমে শুরু থেকে এলেমেলো ফিল্ডিং করতে থাকে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুই আফ্রিকান ওপেনার রান নিতে গিয়ে চলে গিয়েছিলেন একপাশে। কিন্তু মারুফা করা থ্রো ধরতেই পারেননি উইকেটরক্ষক শামিমা সুলতানা।

এর আগে দ্বিতীয় ওভারে  ব্রিটসের ক্যাচও পড়েছে। এরপর নবম ওভারে ব্রিটসের সহজ স্টাম্পিং মিস করেন শামিমা। এমনকি পরের ওভারে আবারও সহজ স্টাম্পিং মিস করে ব্রিটসকে তৃতীয় জীবন দেন শামিমা।

টানা তিনবার বেঁচে যাওয়া বিটসে আর ভুল করেননি। শুরুতে অস্বস্তিতে থাকলেও পরবর্তীতে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছেন। অন্যপ্রান্তে তো আরেক ওপেনার লরা ভলভার্ট শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তার ১ ছক্কা ও ৭ চারে তাঁর ৫৬ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সামনে বারবার খেই হারিয়েছে  বাংলাদেশের বোলাররা। অন্যপ্রান্তে ব্রিটসের ব্যাট থেকে এসেছে ৪ চারে ৫১ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস 

দুজনের তাণ্ডবে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশের জন্য এটা স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও স্বাগতিকদের জন্য এটা ছিল বাঁচা মরার লড়াই। সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। 

 

Link copied!