আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। শুরুর দিকের ব্যাটারদের হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে বাংলাদেশ। তবে মুশফিকুর রহিম-মেহেদী হাসান মিরাজ আশা দেখান বড় স্কোরের। এই জুটি ভাঙায় সে আশাও শেষ হয় টাইগারদের।
ম্যাচে টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামে। প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হন লিটন। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে জোশ লিটলের বল ঠিকঠাক সামলাতে না পেরে এলবিডব্লিউ`র ফাঁদে পড়েন আইপিএল ফেরত এই তারকা ওপেনার। দলীয় মাত্র ৩ রানেই রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় লিটনকে। ফিল্ড আম্পায়ার খানিক ভেবেই লিটলের আবেদনে সাড়া দেন।
লিটনের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিম। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে বিদায় হন এই ওপেনার। দলীয় ১৫ রানে প্রতিপক্ষের বল ব্যাটে ঠিকঠাক ছোঁয়াতে পারেননি তামিম। আইরিশরা আউটের আবেদন করলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিতে ভুল করেনি স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। রিভিউতে দেখা যায় ব্যাটে ছুঁইয়েছে বল। যদিও আউট নিয়ে অসন্তুষ্ট দেখা যায় তামিমকে। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় বারবার তাকে অসন্তুষ্টিতে মাথা নাড়াতে দেখা যায়।
দেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব ক্রিজে এলে আশা দেখে বাংলাদেশ। তবে তিনিও দলে থিতু হওয়ার আগে বিদায় হন। ১২তম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমের বল সরাসরি আঘাত করে স্টাম্পে। ২১ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২০ রান করে বিদায় হন সাকিব।
সাকিবের বিদায়ুএর পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় ফিফটি রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১০২ রানে শান্ত শান্ত ফিফটি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। দলীয় ১২২ রানে হৃদয়ও ফেরেন ব্যক্তিগত ২৭ রানে।
তবে এরপর মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি আশা দেখান। দলীয় ১৮৭ রানে মিরাজ ২৭ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। মুশফিক ৪৬ রানে তাইজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ক্রিজে আছেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ।