দিনের শুরুর বলেই আউট হয়ে যান শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা খারাপ হয়নি। মধ্যাহ্ন ভোজে যাওয়ার আগে ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮ রান তুলেছে তারা।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ একের পর এক এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে সফল হচ্ছিল না। এমনকি একবার রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে নিউজিল্যান্ডের ৩৬ রানের সময়ে সফল হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৩ ওভারে তাইজুলের বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করেছিলেন টম লাথাম। কিন্তু ব্যাটে ঠিকমতো তিনি নিতে পারেননি। তাতে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে যায়। আর সেটি লুফে নেন নাঈম হাসান। ৪৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন লাথাম।
এরপরে ডেভন কনওয়েকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন কেইন উইলিয়ামসন। তবে, এই জুটি গড়ে ওঠার আগেই বিদায় নেন কনওয়ে। ১৬ তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। উইকেটের পাশেই দাঁড়িয়ে অসাধারণভাবে ক্যাচটি লুফে নেন শাহাদাত হোসেন দিপু। কনওয়ে ৪০ বলে ১২ রান করেন।
এর আগে, দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লেন শরিফুল ইসলাম। তাতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ১ম ইনিংসে ৩১০ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদল হাসান জয়। এছাড়াও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন যথাক্রমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক।
ম্যাচের প্রথম দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার ফলে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ২৯০ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শঙ্কা জাগে ৩০০ এর আগেই অলআউট হওয়ার। কিন্তু শরীফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ভর করে তিনশ পার করে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে গ্লেন ফিলিপস ৪টি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০/১০, ৮৫.১ ওভার (জয় ৮৬, জাকির ১২, শান্ত ৩৭, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ১২, শাহাদাত ২৪, মিরাজ ২০, সোহান ২৯, নাঈম ১২, তাইজুল ৮, শরিফুল ১৩; সাউদি ১৪-২-৪৩-১, জেমিসন ১৭-৫-৫২-২, প্যাটেল ২৪-১-৭৬-২, সোধি ১৪-১-৭১-১, ফিলিপস ১৬-১-৫৩-৪)