সোমবার (১৬ অক্টোবর) ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ফাইনাল অফ দা ইয়ার বলেছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগ করেছিলেন নিজেদের সেরাটা দিয়ে জিততে চায় ম্যাচটি। অবশেষে ফাইনাল অফ দা ইয়ার আখ্যায়িত ম্যাচটি জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট নিজেদের পকেটে পুড়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে, প্রথম লেগে মালদ্বীপের ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে এসেছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
বসুন্ধরার কিংস অ্যারিনায় ম্যাচের ১১ মিনিটেই লিড পায় বাংলাদেশ। সাদ উদ্দিনের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে যান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তিনি সেখান থেকে রাকিব হোসেনকে বাড়িয়ে দেন কাটব্যাক করে। রাকিব দুর্দান্ত প্লেসিং শটে গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এই গোলের মিনিট তিনেক পরেই বাংলাদেশ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বক্সের সামনে বল ফেলেন। সতীর্থ ফরোয়ার্ড বলটি রিসিভ করলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া আজকের ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছেন। বিশেষ করে তার বাড়ানো দুই বলে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। গোলদাতা রাকিব হোসেন গোলরক্ষকে ওয়ান টু ওয়ান পেয়েও গোল করতে পারেননি।
বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হলেও মালদ্বীপ সমতা আনতে ভুল করেনি। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হাজমার কর্নার ফাহিম হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল আইসাম ইব্রাহিমের মাথায় পড়লে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। কিংস অ্যারেনার গ্যালারি নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
গোল হজমের পরও বাংলাদেশ দমে যায়নি। প্রথমার্ধের বাকি সময় গোল করার সর্বাত্মক চেষ্টাই করেছে। যদিও ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল সংখ্যা আর বাড়েনি। ফলে ১-১ সমতায় রেখে মাঠ ছাড়ে দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে বাংলাদেশ লিড নেয়। সেই লিড নেয়ার মিনিট দশেক পরেই বাংলাদেশ দশ জনের দলে পরিণত হয়। সোহেল রানা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৬০ মিনিট থেকে বাংলাদেশ ১০ জন নিয়ে খেলে। তবে মালদ্বীপ দশ জনের বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন আক্রমণাত্মক কিছু করতে পারেনি। উল্টো বাংলাদেশ সমানতালে আক্রমণ করে খেলেছে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মালদ্বীপও দশ জনের দলে পরিণত হয়। বক্সের সামনে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডকে বাজেভাবে ফাউল করলে রেফারি মালদ্বীপের ফুটবলারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এর আগে অবশ্য, ইনজুরি সময়ে মালদ্বীপ বাংলাদেশকে কাঁপন ধরালেও গোলরক্ষক মিতুল ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ গোল হজম করেনি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘আই’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশের অপেক্ষায় আছে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন।